বাঁচার অধিকার,
মুনমুন মুখার্জ্জী,
নারীর কাছে অনেকেই সুযোগ খোঁজো
আপন করো কোথায়?
নিজে থেকে হাত বাড়ালেই নারী
তোমরা থাকো ধান্দায়।
যদি শুরু হয় নারীদের নাম ডাক
মনে মনে তাতেও জ্বলো,
যতটা কাজে লাগানো যায় লাগাও
আর মেপে কথা বলো।
তোমরা নারীর আনুগত্যটাই চাও
চাও থাকুক হাত পেতে,
প্রতি পদে পদে ছলনা করে তাই
চাও তাকে আটকাতে।
চায় না সব নারী হাতি ঘোড়া কিছু
ভালোবাসে না হাত পাততে,
ক্ষমতার বাইরে দিয়েও যায় শুধু
তোমরা পারো না কুলাতে।
খারাপ ভালো নিয়ে এই দুনিয়ায়
নারীকে ক’জনই বা বোঝে?
কাপুরুষরা নিজের দোষ ঢাকতে
নারীদেরই দোষ খোঁজে।
নারীর মন যে গো ধরিত্রির মতো
ভাবে শুধু অন্যের কথা,
যার কথা ভেবে সুখ ত্যাগ করে
সেও বোঝে কি তার ব্যথা?
নিজের মনকে নারী গচ্ছিত রাখে
আপনজনের সুখের কাছে,
সেই মনটাই যদি খান খান হয়
কি থাকে তার কাছে!
বলো ধৈর্য্য রাখতে, সহ্য করতে–
শক্ত ভীষণ কথাগুলো,
পায়ের তলায় নারীকে দাবিয়ে রাখতেই
তোমরা ওসব কথা বলো।
ওগো কলের পুতুল নয়তো আর নারী
রক্ত মাংসের শরীর তার,
সেও যে মানুষ, মানুষের মতো তাকে
দেবে কবে বাঁচার অধিকার?