Spread the love

 বরখাস্ত ২৬৯ জনের নিয়োগে সই ছিল শুধুমাত্র মানিক ভট্টাচার্যের!

বৈদূর্য ঘোষাল ,

শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বোর্ডের তরফে আদালতে যে নথি দেওয়া হয়েছে, তা এবার সিবিআই-এর হাতে তুলে দিল আদালত। এদিন  বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের  বেঞ্চে চলা শুনানিতে ওই নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা  সিবিআই-কে দেওয়া হয়েছে। ওই সব নথি যাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে না দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

তবে  বিচারপতি নথি দেওয়ার নির্দেশ দেন। অতি সম্প্রতি  এই মানলায় ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ওই শিক্ষকরা ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। ওই ২৬৯ জনকে অতিরিক্ত ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল। প্রশ্ন ভুল থাকা সত্ত্বেও কেন বাকিদের ওই অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হল না?১ নম্বর দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত পর্ষদের তরফে নেওয়া হয়েছিল, সেখানে দেখা গিয়েছিল মানিক ভট্টাচার্য ছাড়া আর কারও সই নেই! পর্ষদের দেওয়া এই নথি দেখে তাজ্জব হয়ে যায় আদালত । এরপরই তলব করা হয়েছিল  মানিক ভট্টাচার্যকে। আর সেই নথিই এবার দেওয়া হল সিবিআই-কে। প্যানেল ভুয়ো ছিল কি না, এক্সপার্ট কমিটির মত কী ছিল, এই সব তথ্যই রয়েছে ওই নথিতে।টেট পরীক্ষায় প্রাপ্ত বাড়তি ১ নম্বর নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। এবার সেই ১ নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন ছিল কি না? তা জানতে চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত বৃহস্পতিবার পর্ষদের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, -‘সবাইকে ১ নম্বর বাড়তি দিলে লাভ হত না। যাঁদের ১ নম্বর কম ছিল, অর্থাত্‍ যাঁরা ১ নম্বরের জন্য উত্তীর্ণ হতে পারেননি, তাঁদের নম্বর দেওয়াটাই যুক্তিসঙ্গত ছিল। শুধুমাত্র প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া হয়েছে’। তবে সব পরীক্ষার্থীদের কে কেন ১ নাম্বার বৃদ্ধি ঘটানো হলো না, তার সদুত্তর পাইনি আদালত। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *