প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর বিষয়ক সেমিনার রথীন্দ্র মঞ্চে
বৈদূর্য ঘোষাল ,
অতি সম্প্রতি কলকাতার গিরিশ পার্ক সংলগ্ন জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ীর রথীন্দ্রমঞ্চে ট্যাক্স ফেটারনিটি অর্গানাইজেশন কমার্শিয়াল ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এক সারাদিন ব্যাপি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর-বিষয়ক সেমিনার। অডিটোরিয়াম ছিলো কানায় কানায় পরিপূর্ণ। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় তিনশতোধিক কর-বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। মঞ্চে বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে প্রদীপ প্রজ্জ্বোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শ্রীরাজর্ষি ভরদ্বাজ। তাঁর স্বভাবসিদ্ধ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাফল্যতার কথা তুলে ধরেন। সফলতার শীর্ষে থাকা একজন ব্যক্তি যিনি অতীতকে ভোলেননি বিচারপতি ভরদ্বাজের বক্তব্যে তা স্পষ্ট । সাফল্যের চাবিকাঠি যে সিটিবিএ এর মতো সংগঠনগুলির সদস্যপদ গ্রহণ করেও সংশ্লিষ্ট সংস্থায় নিয়মিত যোগযোগ রাখলেও হতে পারে যা তার ব্যক্তি ব্যবহারিক জীবনে ঘটেছে এটাই ছিল সেদিনের নবীন আইনজীবীদের প্রতি তাঁর বার্তা । সমিতির সভাপতি শ্রীকল্যান কুমার মুখোপাধ্যায় তার স্বাগত ভাষণে সংগঠনের ইতিহাস বলতে গিয়ে সেই প্রারম্ভিক বারজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের কথা উল্লেখ করেন যারা নিজ নিজ জায়গায় যশ ও খ্যাতির শিখরে ছিলেন। পরবর্তীতে যে সকল সদস্য দেশে ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ও খ্যাতির ধারাবাহিকতা রেখে গেছেন তাদের নাম ও উল্লেখ করেন। বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই আজ প্রতিষ্ঠিত যারা আমাদের সদস্য তাদের জন্য আমরা গর্বিত সেকথা সভাপতি মনে করিয়ে দেন। সংগঠনের গতিকে ত্বরাণ্বিত করে তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবার আহ্বান রেখে তার বক্তব্য শেষ করেন । একজনের পরিসমাপ্তিতে আরেকজনের হাল ধরা এটাই যে পরম্পরা । সিটিবিএ এর ক্ষেত্রে এরকম ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে।তিনটি প্রজন্মের সিটিবিএর কর্মসমিতিতে একই পদ অবলম্বন করেছেন এমন অনেক পরিবার আছে। বর্তমান সভাপতি শ্রীকল্যান মুখোপাধ্যায় তার একটি দৃষ্টান্ত । আর সিটিবিএ ক্ষেত্রে এই পরম্পরায় সর্বদা তিনি দেখতে পান।তিনি আর কেউ নন সকলের প্রিয় শ্রী সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ বার কাউন্সিলের প্রাক্তন সহ:সভাপতি বর্তমানে অন্যতম সদস্য ও সিটিবিএ এর সদ্য প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক একজন সুদক্ষ সংগঠক যার সর্বত্র অবাধ বিচরণ । অনুষ্ঠানের সঞ্চালক অ্যাডভোকেট শ্রীসুমিত গুপ্তের কথায় তিনি বহু সংগঠনের বিভিন্ন পদ অলংকার করে আছেন।ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট,মহাবোধি সোসাইটি,রবীন্দ্রভারতী সোসাইটি আরও অনেক সংগঠনের কর্মসমিতিতে আছেন। যার রক্তে ও শিরায় সংগঠন প্রবহমান। কারণ তিনিও পরম্পরা। পিতা স্বর্গীয় আনন্দ কুমার মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত করবিশেষজ্ঞ। দীর্ঘ ত্রিশ বছর ছিলেন রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।