প্রকাশিত হলো ‘ভাষাসরিৎ’ সাহিত্য পত্রিকা
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
সাহিত্য জগতে একদল যখন সাহিত্যচর্চা ও ব্যবসাকে সমার্থক করে তুলেছে ঠিক তখন গত পঁয়ত্রিশ বছর ধরে তিল তিল করে ‘ভাষাসরিৎ’ সাহিত্য পত্রিকা গোষ্ঠী বাংলা সাহিত্য জগতে নিজেদের যে আলাদা ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছে আজও তারা সেটা বজায় রেখেছে। অতীতের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এবারও অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে তাদের পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
গত ২১ শে নভেম্বর শিয়ালদহের কৃষ্ণচন্দ্র ঘোষ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ভবনে ভাষাসরিৎ পত্রিকার ৩৫ তম বর্ষের চতুর্থ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। প্রতিবারের মত এবারও পত্রিকার প্রচ্ছদ ভাবনা হলো পেশায় ডাক্তার তপব্রতা হাজরার। অনুষ্ঠানে পত্রিকা গোষ্ঠীর সম্পাদক পেশায় শিক্ষক নদেরচাঁদ হাজরার ১৩ তম একক কাব্য 'সমীপেষু' এবং পত্রিকা গোষ্ঠীর সহ সম্পাদক পেশায় সেনাবাহিনীর জওয়ান মারুফ খানের তৃতীয় কাব্যগ্রন্হ 'জীবনের সন্ধানে' প্রকাশিত হয়।
এবারও সাতটি সাহিত্য পত্রিকা গোষ্ঠীকে মেমেন্টো, সার্টিফিকেট ও ভাষাসরিৎ পরিবেশিত আটটি গ্রন্থ দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়৷ পত্রিকা গোষ্ঠীগুলি হলো- কাব্যতরী, কথা ও কাব্য, ঋ সাহিত্য পত্রিকা, তুষার সাহিত্য পত্রিকা, নীলশঙ্খ, শব্দের ঝংকার ও বাক ও ধ্বনি।
অনুষ্ঠানে ৯৪ জন কবি স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। তাদের প্রত্যেককে মেমেন্টো ও সার্টিফিটেক দিয়ে সম্মানিত করা হয়৷ প্রবীণ কবিরা তাদের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার উজার করে দেন অনুষ্ঠানে। নবীন-প্রবীণের আলোচনায় এক সময় অনুষ্ঠান অন্য মাত্রায় পৌঁছে যায়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নদেরচাঁদ হাজরা ও কবিতা দাস৷
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পত্রিকা গোষ্ঠীর সভাপতি সুনীতা হাজরা। উপস্থিত
ছিলেন কৃষ্ণা গুহ, প্রবীর কুমার চৌধুরী, মানিক দাক্ষিত, সুনীল মুখোপাধ্যায় সহ পত্রিকা গোষ্ঠীর অন্যান্য সদস্যরা।
পত্রিকার অতীত বর্তমান এবং আগামী পরিকল্পনা তুলে ধরেন পত্রিকা গোষ্ঠীর সম্পাদক নদেরচাঁদ হাজরা৷ তিনি বলেন - আমরা বছরে চারটি করে পত্রিকা প্রকাশ করে থাকি। আমাদের লক্ষ্য পত্রিকাটিকে আরও উন্নত মানের করে তোলা।
।