সঞ্জয় হালদার,
দক্ষিণবঙ্গের পাহাড় জঙ্গল ঘেরা ছোটনাগপুর মালভূমির বিস্তীর্ণ অঞ্চল জঙ্গলমহল।
১৭৬৫ সালে ব্রিটিশরা এই এলাকার দেওয়ানী সত্ত্ব লাভ করে। বিশাল জঙ্গলমহলের শাসন ক্ষমতা কঠোরভাবে কায়েম রাখতে এই অংশ ভেঙে প্রথমেই তারা একাধিক জেলা গঠন করে।
১৭৭৩ সালে তৎকালীন পঞ্চকোট রাজ্যকে ধরে তারা গড়ে তোলে পাঞ্চেত জেলা।
১৮০৫ সালে জঙ্গলমহলের অবশিষ্ট অংশের দক্ষিণাংশ নিয়ে তৈরি হয় জঙ্গলমহল জেলা যার সদর শহর বাঁকুড়া।
১৮৩৩ সালে জঙ্গলমহলের পশ্চিমাংশ নিয়ে গড়ে ওঠে মানভূম জেলা যার সদর হয় মানবাজার।
১৮৪৫ সালে মানভূম জেলা থেকে ধলভূম অংশকে ছিন্ন করে বীরভূম জেলার সাথে যুক্ত করা হয়।
১৮৭৯ সালে মানভূমের সমতল অংশকে বাঁকুড়ার সাথে যুক্ত করা হয়।
বঙ্গপ্রদেশ নামে বাংলা বিহার উড়িষ্যা ছিল একটিই প্রদেশ । ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জন নবগঠিত বিহার উড়িষ্যা প্রদেশের মধ্যে মানভূম জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করে বঙ্গভঙ্গের কথা ঘোষনা করেন।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের ফলে ১৯১১ সালে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত রদ করে।
তৎকালীন পূর্ববঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও ত্রিপুরা বঙ্গপ্রদেশেই থেকে যায়। কিন্ত বঙ্গপ্রদেশের একাংশ নিয়ে বিহার উড়িষ্যা প্রদেশ গঠন থেকে ব্রিটিশ সরকার সরে আসেনি।
১৯১২ সালের ১লা এপ্রিল বিহার উড়িষ্যা প্রদেশ গঠিত হয়, মানভূম জেলা চলে যায় নবগঠিত প্রদেশে।
১৯৩৬ সালে সংযুক্ত বিহার উড়িষ্যা প্রদেশ ভেঙে বিহার ও উড়িষ্যা নামে দুটি আলাদা প্রদেশ গঠিত হলে মানভূম থেকে যায় বিহারের ভাগে।
২৩ বছর মানভূম বিহারে ছিল।
১৯৫৬ সালে ১লা নভেম্বর আজকের দিনে মানভূম জেলার বৃহৎ অংশ নিয়ে গড়ে উঠল পুরুলিয়া জেলা।
নবগঠিত জেলা পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হল। 1 লা নভেম্বর পুরুলিয়া জেলার জন্মদিনে আজ পুঞ্চার পাকবিড়রায় ভাষা সেনানীদের বিশেষ সম্বর্ধনা জানান পুরুলিয়া জেলার সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়।