জুলফিকার আলি,
পাঁশকুড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের ধারে উদ্বাস্তু বসতিবাসিদের শিশুদের শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসার পাশাপাশি তাঁদের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে আসে নস্করদিঘীর আমরা ছাত্রদলের সদস্যরা।
এদিন দেখা গেল ছাত্রদলের মানবিক মুখ। ওই অসহায় শিশুদের বাবা, মা সকাল হলেই রাস্তা ধারে পড়ে থাকা কাগজ বোতল কুড়িয়ে রোজগার করতে চলে যায়। তবে তাতে তেমন সংসার চলে না, কেউ কেউ আবার ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন কাটায়।
প্রত্যেক শিশুদের অধিকার আছে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়ার, কিন্তু কে দেবে তাঁদের শিক্ষা দান! সে কারনে শিশুগুলো পড়াশোনা কি জিনিস জানে না, বই খাতা পেন হাতে নেওয়ার মতো আর্থিক ক্ষমতা নেই, রাজ্য সরকার কতটুকু ভাবে ওই ভবঘুরে উদ্বাস্তু বস্তিবাসিদের কথা ! বসতবাড়ি তো দূরের কথা পোশাক বা খাওয়ারটুকু পায় না তাঁরা ঠিকমতো। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে রাত কাটায় তাঁরা। তীব্র কনকনে কাঁপুনি ঠান্ডায় কোনোরকম ছেঁড়া অপরিস্কার কম্বল গায়ে দিয়ে রাত্রি যাপন করে এরা।
যে কারনে অঙ্গীকার বদ্ধ হয়ে শুক্রবার সকালে আমরা ছাত্রদলের সদস্যরা শীতের পোশাক নিয়ে হাজির হয় ওদের কাছে। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শীতবস্ত্র। এমনকি তাঁদের শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসার জন্য অঙ্গীকার বদ্ধ হয় ছাত্রদল। স্থানীয় কিছু মানুষের সহযোগিতায় ছাত্রদলের সদস্যরা তাঁদের শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসার জন্য শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেবে তাঁদের হাতে, তাঁর পাশাপাশি শিশুদের সপ্তাহে সপ্তাহে ফ্রী তে টিউশান পড়ানোর উদ্যোগ নেয় তাঁরা। তাঁদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রত্যেক মানুষ। এবং নতুন পোশাক হাতে পেয়ে আপ্লুত হতে দেখা যায় ওই শিশুদের।