পড়ুয়াদের আত্মহত্যা রুখতে রাজ্যের পদক্ষেপ কি? শুনানি বৃহস্পতিবার
নিজস্ব প্রতিনিধি,
প্রায় অভিভাবক চান তার সন্তান যেন সেরা হয়।এতে বাড়ছে প্রতিযোগিতা। বাড়ছে মানসিক চাপ। এই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতাও ক্রমশ বাড়ছে । গত বছর সংসদে পেশ করা একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্তত ৯৮ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন।এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি, আইআইটি, এনআইটি বা আইআইএম-সহ নানা ধরনের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন এইমস-এ কমপক্ষে আরও ১৩ জন ছাত্রছাত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। এই আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকাতে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ জানতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা।মনস্তাত্ত্বিকবিদদের মতে, -‘সময়ের সঙ্গে বেড়ে চলা প্রতিযোগিতায় নিজেদের উপযুক্ত করে তুলতেই পড়ুয়াদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে’। বিশেষত বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর পড়ুয়ারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।মামলাকারীর দাবি, -‘আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকাতে ২০১৭ সালে একটি আইন তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মেন্টাল হেলথ কেয়ার নামক সেই আইনের ১০০ নম্বর ধারায় আত্মহত্যার প্রবণতা রুখতে একাধিক পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আইন প্রণয়নের জন্য প্রতিটি জেলাকে ৮৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।মামলাকারীর দাবি , -‘ সাত বছর কেটে যাওয়ার পরও কেন্দ্রের আইন প্রণয়ন করেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার’। আর এই আইন প্রণয়নের দাবি এবং আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকাতে রাজ্য কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা জানতে চেয়েই মামলা হয়েছে হাইকোর্টে। আগামী বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে ।