নেতাই গণহত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত রথীন দন্ডপাট জামিন পেলেন ডিভিশন বেঞ্চে
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে জামিন পেলেন বহু চর্চিত নেতাই গণহত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাট। এদিন শর্তসাপেক্ষে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। গত ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন রথীন দন্ডপাট। গত ২০১১ সালে ৭ জানুয়ারি নেতাইকাণ্ডের সময় তাঁর বাড়ির ছাদ থেকেই গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল।সম্প্রতি এই মামলায় জামিনের আবেদন করেন তিনি। এর আগে একাধিকবার শুনানিও হয়। সে সময় জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেলেও সোমবারের শুনানিতে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান তিনি। যেহেতু ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়ে গিয়েছে এবং সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়াও অনেকটা এগিয়েছে, তাই তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ।নেতাই মামলায় আগেই আরও দুই অভিযুক্ত পিন্টু রায় ও গণ্ডীবন রায় জামিন পান। তবে রথীনের জামিনের আবেদন সেই সময় খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট । গত এক বছরে আরও সাক্ষ্য প্রমাণ পেশ হয়েছে আদালতে। প্রায় ১০ বছর পর জামিন পেলেন রথীন। এতদিন বিচারাধীন বন্দি হিসাবে ছিলেন তিনি। বাম জমানার শেষের দিকে ঝাড়গ্রাম মহকুমার বিনপুর-১ ব্লকের লালগড়ের নেতাই গ্রামের সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে গুলি চালনার অভিযোগ ওঠে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় ৯ জন মারা যান, আহত হয়েছিলেন ২৮ জন। অভিযোগ ওঠে, রথীনের বাড়িতে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীর শিবির ছিল। গ্রামের লোকজনকে নানাভাবে তারা উত্পাত করত বলেও অভিযোগ। এসব নিয়েই ক্ষোভ বাড়ছিল গ্রামের মানুষের। ২০১১ সালে ৭ জানুয়ারি তারই প্রতিবাদে গ্রামের মহিলারা ফুঁসে ওঠেন। এরপরই গুলি চালনার ঘটনা বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। যে তদন্ত এখনও চলছে।তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন জনস্বার্থ মামলাকারী আইনজীবী সঞ্জয় বর্ধন । নিম্ন আদালতে বিচারের দীর্ঘমেয়াদির জন্য সঞ্জয়বাবু সিবিআই কে দায়ী করেছেন।