সেখ রাজু,
নাবালিকা উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িত যুবক গ্রেপ্তার
বাঁকুড়ার সোনামুখী থেকে এক নাবালিকা উদ্ধার ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত যুবককে গ্রেফতার করল মঙ্গলকোট থানার পুলিশ । যুবকের নাম রাহুল দাস,এর বাড়ি মঙ্গলকোটের গোতিস্টা। মা রেশমি প্রাধান ও রাহুল দাস তামিলনাড়ুর একটি সূতো কারখানায় কাজ করত । 4 মাস আগে রাহুল দাস রেশমি প্রাধানের মেয়ে কে নিয়ে পালিয়ে যায় । ঘটনায় তড়িঘড়ি রেশমি প্রাধান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে । পরবর্তী সময়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কাছে দ্বারস্থ হয়ে জেলার পুলিশ সুপার এর মাধ্যমে তড়িঘড়ি তৎপরতার সঙ্গে তার কন্যা খোঁজে পুলিশ তৎপর হয় । প্রথমে ব্যাঙ্গালোর পরে ব্যান্ডেল ও সোনামুখীর বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিচ্ছিল তারা । সূত্র মারফত তামিলনাড়ুর পুলিশ মঙ্গলকোট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করলে, মঙ্গলকোট থানার পুলিশ রাহুল দাসের কাকার ছেলে কিশোর দাসকে আটক করে এবং তার কাছ থেকেই বাঁকুড়ার সোনামুখীর খবর পায় । তড়িঘড়ি মঙ্গলকোট থানার আইসি পিন্টু মুখার্জির তৎপরতায় ওই নাবালিকাকে বাঁকুড়ার সোনামুখী থেকে উদ্ধার করে । যুবককে হাতেনাতে গ্রেফতার করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ।
তামিলনাড়ু থেকে 4 পুলিশ সহ ওই যুবতীর মা মঙ্গলকোট থানায় হাজির হয়েছেন । এই ঘটনায় ওই নাবালিকার মা মঙ্গলকোট পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতাকে সাধুবাদ জানায় । তিনি জানান মঙ্গলকোট থানার আইসি পিন্টু মুখার্জির তড়িঘড়ি প্রচেষ্টায় সে তার মেয়েকে পেয়েছেন । এর জন্য আইসি পিন্টু মুখার্জিকে ধন্যবাদ জানান তিনি ।
অন্যদিকে ঘটনার মোড় নেয় এক নতুন রূপ । প্রায় এক বছর আগেই মঙ্গলকোটের কাশেমনগর গ্রামের মৌসুমী মাঝিকে লুকিয়ে বিয়ে করে রাহুল দাস । কাজের নামে প্রায় এক বছর আগে সে বাড়ি থেকে চলে যায় এবং 4 মাস আগে তামিলনাড়ু নিয়ে গা ঢাকা দেয় । যদিও মৌসুমী মাঝি এই ঘটনার জন্য তার স্বামীর শাস্তির দাবি রেখেছেন । তিনি জানান তার প্রতি এই নিম্ন কুরুচিকর ব্যবহার হয়েছে তার জন্য প্রশাসন যেন রাহুল দাসকে শাস্তি দেয় ।
রাহুল দাসের পরিবারের লোকেরা এই ঘটনাকে তীব্র নিন্দা জানাই । তার কাকা জানায় পুলিশ প্রশাসন যেন এই অমানবিক কাজের জন্য যথাযথ শাস্তি দেয় । সমগ্র ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ।