নবমীর দিনে শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে ৬০০ জন আদিবাসী মানুষকে করানো হলো মধ্যাহ্নভোজন।
আমিরুল ইসলাম,
কিছু জিনিস ভাগ করলে বাড়ে। আনন্দ তার মধ্যে অন্যতম। পুজোর আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার নানা প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। সংস্থার পঞ্চাশেরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে পুজোর আগে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের হাতে নতুন পোশাক তুলে দেওয়া হয়েছে। পুজোর মধ্যে পংক্তি ভোজের মধ্য দিয়ে তাদের সাথে আবারও আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হলো। নবমীর দুধ দুপুরে শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের পক্ষে জরকাডাঙা আদিবাসী গ্রামে এই পংক্তি ভোজনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সে গ্রামের প্রায় ৬০০ শ মানুষ এতে যোগ দেন। এখানে মেডিকেল কলেজের সভাপতি মলয় পিট কে আদিবাসী নৃত্য সহযোগে অভ্যর্থনা জানানো হয়। তার হাতে তুলে দেওয়া হয় পুষ্প স্তবক।
সংস্থার সভাপতি মলয় পিট জানান, “যাদের একটু বেশি আছে, তারা যদি যাদের নেই তাদের সঙ্গে একটু ভাগ করে নেন তাহলে আমাদের সমাজের বৈষম্য দূর হয়। তাদের মুখে হাসি ফোটে। উৎসবের আনন্দ, উৎসবের রং আরো রঙিন হয়। আমরা আমাদের সামর্থ্য মত সেই পদক্ষেপ নিয়েছি। শুধু পুজো নয়, আমাদের ইচ্ছা ঈদ ও শীতের সময়ও আমরা এভাবেই মানুষের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করব এবং আমাদের সামর্থ মতো তাদের সাথে ভাগ করে নেব। আমাদের ছাত্র-ছাত্রী, কর্মী ও শিক্ষকেরাও এই কাজে এগিয়ে এসেছেন।”