দুর্গাপুর – আসানসোল থেকে অন্ডাল বিমানবন্দর যাওয়ার বাস দাবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
দক্ষিণবঙ্গে দমদমের পরেই গুরত্বপূর্ণ বিমানবন্দর হিসাবে পরিচিত পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডালের বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর।শুধু পশ্চিম বর্ধমান জেলা নয় পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার বেশিরভাগ বিমানযাত্রী অন্ডালের বিমানবন্দর কে ব্যবহার করে থাকেন।তবে আসানসোল কিংবা দুর্গাপুর থেকে অন্ডাল বিমানবন্দরে যাতায়াত করবার বাস পরিষেবা নেই বললেই চলে। তাই ভাড়া গাড়িতে অতিরিক্ত টাকার মাশুল গুনতে হয় বিমানযাত্রীদের বিমানবন্দরে যাতায়াত করবার জন্য। কাজী নজরুল বিমানবন্দরকে আগামী দিনে আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট তৈরি করার চিন্তাভাবনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তৈরি হচ্ছে আরও একটি বিমানবন্দর । আসানসোল শহর সংলগ্ন বার্নপুরে নতুন বিমানবন্দর তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে।এখন প্রয়োজন শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহন মন্ত্রকের অনুমোদন। অন্যদিকে নতুন বছরের মধ্যেই অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে নিত্য যাতায়াতকারী বিমানের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে বলে জানা গেছে ।চলতি বছরে কাজী নজরুল বিমানবন্দরের প্রতি নির্ভরতা বেড়েছে অনেক মানুষের। নিত্য যাতায়াতকারী মানুষের সংখ্যাও ক্রমশ বেড়েছে। তবে বিমানবন্দরে পৌঁছতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন অনেক মানুষ। বিমানবন্দর পৌঁছতে প্রায় বিমান ভাড়ার সমান টাকা খরচ করতে হচ্ছে যাত্রীদের বলে দাবি। কারণ জাতীয় সড়ক থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অন্ডাল বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য নেই কোনও গনপরিবহনের ব্যবস্থা অর্থাৎ যাত্রীবাহী বাস নেই এখানে ।এক্ষেত্রে যে সমস্ত যাত্রীদের নিজস্ব গাড়ি নেই, তাদের ভরসা করতে হচ্ছে ভাড়ার গাড়ি, ক্যাব, টাক্সির ওপর । তাতে যে পরিমান খরচ যাত্রীদের হচ্ছে, তা মেটাতে অনেক যাত্রীর অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। তাই বিমানবন্দরে আসা-যাওয়া করা যাত্রীদের দাবি, অন্ততপক্ষে দুর্গাপুর সিটি সেন্টার থেকে অন্ডাল বিমানবন্দরে এবং আসানসোল থেকে অন্ডাল বিমানবন্দরে আসার জন্য সরকারি উদ্যোগে কোনও গণপরিবহন দ্রুত চালু করা হোক। তাতে, বিমানবন্দরে আসা-যাওয়া করা মানুষের খরচ সাশ্রয় হবে। ভাড়ার গাড়ির উপর ভরসা করতে হবে না তাদের,সেখানে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়েও কোন প্রশ্ন থাকবেনা । পাশাপশি গন পরিবহনের ব্যবস্থা করলে, তাতে রাজ্য সরকারের আয় হবে ।উল্লেখ্য , কাজী নজরুল বিমানবন্দর থেকে বর্তমানে চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রুটে বিমান চালানো হচ্ছে। এই বিমানবন্দরের প্রতি নির্ভরশীলতা বাড়ছে পশ্চিম বর্ধমানের পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির মানুষের। সে তালিকায় পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলাগুলি রয়েছে । এই সমস্ত মানুষের কাছে কলকাতা বিমানবন্দরের থেকে, কাজী নজরুল বিমানবন্দর পৌঁছানো অপেক্ষাকৃত সহজ। এরফলে বহু মানুষই এই বিমানবন্দরের উপর ভরসা করতে শুরু করেছেন।তবে সমস্যা হচ্ছে বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে। বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার যাত্রীরা তো বটেই, এমনকি পশ্চিম বর্ধমান জেলার মানুষও বিমানবন্দর পৌঁছতে গিয়ে মাঝেমধ্যে সমস্যায় পড়ছেন। কারণ জাতীয় সড়ক থেকে বেশ কয়েক কিমি দূরে অন্ডাল বিমানবন্দর টি অবস্থিত। এই রাস্তায় ভিড় যথেষ্ট কম। বেসরকারি গাড়ির সংখ্যা কম,তাই যেমনখুশি ভাড়ার প্রবণতা দেখা যায় এক্ষেত্রে ।