দুরন্ত গতীতে ছিন্ন হলো বাইক চালকের মাথা, চাঞ্চল্য চিংড়িঘাটায়
ওয়াসিম বারি ,
গতিই জীবন আবার গতিই মরণ।তবে দুরন্ত বেপরোয়া গতি আরও ভয়ানক – বেদনাবিধুর। গত শনিবার রাতে চিংড়িঘাটা আরও একবার সাক্ষী হলো এইধরনের মর্মান্তিক ঘটনার।শারদীয়ার চতুর্থীর রাতে বেপরোয়া বাইক চালকের মাথা ছিন্ন হলো দেহ থেকে।সেইসাথে বাইক আরোহী বান্ধবীর অবস্থা আশংকাজনক। গত শনিবার রাতে এক যুবক ও তরুণী সায়েন্স সিটির দিক থেকে বাইকে চিংড়িঘাটার দিকে যাচ্ছিলেন। রাত আড়াইটে নাগাদ তখন ঘটল বিপত্তি। মেট্রোপলিটন লেনের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারায় বাইকটি। সজোরে ডিভাইডারে ধাক্কা মারেন বাইক চালক। সঙ্গে সঙ্গে বাইক থেকে ছিটকে পড়েন ওই যুবক। তার ফলে শরীর থেকে সম্পূর্ণ মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । যুবকের বাইকের পিছনের আসনে ছিলেন এক তরুণী। গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করেন। স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই তরুণীকে। সেখানেই আপাতত ভরতি করা হয় তাঁকে। পুলিশ ওই যুবকের দেহ এবং দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মাথাটি উদ্ধার করেছে। ওই যুবকের বাইকটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।চিংড়িঘাটা মোড় থেকে ইএমবাইপাস পর্যন্ত রাস্তাটি কলকাতা পুলিশের নিয়ন্ত্রণাধীন। এই রাস্তাটিতে একাধিক স্পিড লিমিটার রয়েছে। তাই চাইলেও ওই রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে কেউ গাড়ি কিংবা বাইক চালাতে পারেননা। তবে চিংড়িঘাটা উড়ালপুল থেকে সেক্টর ফাইভের দিকের রাস্তাটি বিধাননগর কমিশনারেটের নিয়ন্ত্রণাধীন। এই রাস্তায় নেই কোনও স্পিড লিমিটার। তাই অনেক সময়ই দেখা যায় গভীর রাতে অধিকাংশ গাড়িই গতির খেলায় মেতে ওঠেন। তার ফলেই বহুক্ষেত্রেই ঘটছে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। যার মাশুল দিচ্ছে নিহতের পরিবারবর্গ।