দহন,
গোবিন্দ সিংহ
আমি লিখেছি, তোমার জন্য এই কবিতা খানি।
উত্তর হয়তো পাবোনা এটাও জানি!
তবুও পড়ো, প্রশ্ন করে দেখো নিজেকে, দাঁড়িয়ে কোথায় আমি।
তুমি একেলা নয়! প্রত্যেকেই হারাচ্ছে তার চেতনা শক্তি।
বিরোধীতা করার সাহস ধীরে ধীরে আত্মার থেকে মরে যাচ্ছে।
নিজের বুকে হাত রেখে বলো,
আমি দেখেছি অন্যায় কিন্তু প্রতিরোধ করতে পারি নি।
কত তুচ্ছ হয়ে যাবে!
কিছু আছে যারা তাদের সততা আত্মসম্মান বাঁচিয়ে রাখার লড়াই করছে।
তবুও হাজারো মানুষের ভিড়ে তুমি কেন লুকিয়ে রয়েছো ?
অন্যায়,অত্যাচার,শোষণ চলছে চোখের সামনে।
কিন্তু প্রতিবাদের ক্ষমতা হারিয়েছো তুমি।
ভয়! কিসের ভয়? আমাদের মুখে কুলুপ এঁটে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
কোথায় রেখেছো সেই স্পর্ধা, আত্মসম্মান,
জাতির বলিদানের উপাখ্যান।
আজ কেন এতো অসহায়? কিসের জন্য মুখ লুকিয়ে থাকো?
মুষ্টিমেয় দুরাচার লোক সমাজকে করছে শোষণ!
শান্ত খেটে খাওয়া দূর্বল মানুষ আজ হতবুদ্ধি!
ছুঁত্ অছুত্ , জাত বেজাতে’র কাড়াকাড়ি,
ধর্মের দোহাই সেতো অত্যন্ত বাড়াবাড়ি।
কোথায় গেল কবির কলম! বুদ্ধিজীবির জ্ঞান!
কারা বলবে অসহায় মানুষের আত্মা বেদনার কথা?
কে তুলে ধরবে নিরীহ মানুষের উপর পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ?
ওরে শান্ত থেকো না কেউ, সঙ্কীর্ণ বিচারকে মুছে ফেলো মানবতার পরিচয় দাও আজ।
প্রতিবাদ করো, প্রতিবাদ জানাও!
আজ এক,কাল দুই, তিন,চার, সহস্রাধিক প্রতিবাদ উঠবে যখন,
ওরা অহংকারী,ভীতু পালাবে তখন।
সময় এসেছে কুলষিত সমাজকে আবার করো দহন।
উঠে আসুক আনন্দ উল্লাস, ফিরে পাক চিরন্তন সভ্য সমাজ।