জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে বাঙালি আজ গভীর সংকটে:-
“জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে বাঙালি আজ গভীর সংকটে” শীর্ষক” এক সেমিনার হয়ে গেলো আজ ১৯ শে এপ্রিল ২০২৪ কলকাতার গনেশ চন্দ্র এভিনিউয়ের সুবর্ণ বণিক সমাজ সভাঘরে । আয়োজক ছিল বঙ্গভাষী মহাসভা ফাউন্ডেশন। সেমিনারে উপস্থিত হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বঙ্গভাষী বাঙালি নেত্রী বৃন্দ। বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গভাষী মহাসভার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সভাপতি ড: পরিমল কান্তি মণ্ডল, বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট সচিব এডভোকেট(সুপ্রিম কোর্ট)গোবিন্দ প্রামাণিক,আসাম থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন অমৃত লাল দাস, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী নৃপেন্দ্র কৃষ্ণ রায়,রেশমি ঘোষ,বিশিষ্ট শিক্ষক শ্রী তাপস মুখার্জি, ছোটন গুপ্ত ও বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা প্রতিনিধি বৃন্দ।
সেমিনারে আলোচিত হয় মেঘালয়েr বাঙালি হত্যার নির্মমতা,আসামের বাঙালিদের সংকটাপন্ন বিষয়ক বহু তত্ত্ব,বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান বিষয়ক আলোচনা, চাঁদসী ডাক্তার কে আয়ুশ মন্ত্রালয়ের স্বীকৃতি ঠিক যেমন ভাবে ইউনানি ,সিদ্ধা, সোয়া ঋগপা কে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারতবর্ষের যেখানে নমঃশূদ্র, পোন্ড্রো,ক্ষত্রিয়,মাঝি এস সি প্রসংশা পত্র পাইনি তার পাওয়ানোর উদ্যোগ নেওয়া,বাংলার বাইরে বাঙালি বিদ্যালয় চালু করানোর ব্যবস্থা করানো। বাঙালি বিপ্লবীদের কাহিনী পাঠ্যপুস্তকে স্থান পাওয়ানোর আরো অনেক বিষয় এই সেমিনারে উঠে আসে। উক্ত সেমিনারে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ড:পরিমল কান্তি মণ্ডল বলেন বঙ্গভাষী মহাসভা দল মত নির্বিশেষে সারা পৃথিবীর বাঙালিকে এক করার উদ্যোগ নিয়েছে । উদ্দেশ্য একটাই বাংলা ভাষা ,বাংলা সংস্কৃতির মান উন্নয়ন করা। বিশ্বের মাঝে বাঙালি কে সেরা হিসাবে প্রতিপন্ন করা।ভারতবর্ষের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্য রাজ্যের বাঙালি সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা এবং তার জন্য বাংলার বাঙালি কে এগিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া।সকল প্রতিনিধি ও উপস্থিত নেতৃত্ববৃন্দ বাঙালিদের এই লড়াইয়ে একজোট হয়ে ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হন।