বেহাল রাস্তা-উদাসীন কর্তৃপক্ষ,
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী বলতেন আমাদের দেশের উন্নতি করতে গেলে তিনটি 'শন'-এর দিকে নজর দিতে হবে। এর অন্যতম হলো 'কমিউনিকেশন'। কিন্তু গলসী থেকে কুতরকি, কুরকুবো, সর হয়ে প্রায় দশ কিলোমিটার ব্যাপী যে রাস্তাটি আনন্দবাজার পর্যন্ত গেছে তার চরম বেহাল দশা দেখলে বোঝা যায় সম্ভবত সংশ্লিষ্ট সড়ক দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেশ সম্পর্কে একেবারেই অবহিত নন। গোটা রাস্তা জুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। বর্ষার সময় জল ভর্তি রাস্তাটিকে নদী অথবা সুইমিং পুল বলে মনে হবে। অনেকেই ঠাট্টা করে বলেন আসলে সরকার মৎস্য প্রকল্প শুরু করেছে। রাস্তার অবস্থা দেখে মনে হবে এটি আদতে মোরাম রাস্তা এবং মাঝে মাঝে পিচ দেওয়া হয়েছে। মোরাম দেওয়ার জন্য রাস্তা দিয়ে বাস বা অন্য কোনো ভাড়ি গাড়ি গেলে এমন মোরামের ধুলো উড়তে শুরু করে তাতে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কার্যত অসম্ভব হয়ে ওঠে। আবার পিচ উঠে রাস্তার পরিস্থিতি সঙ্গীন হয়ে উঠেছে।
আবার এই রাস্তাতেই খড়ি নদীর উপর আছে একটি সেতু। সেতুর দু'ধারের রেলিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে এবং সেটি বিপজ্জনক আকার ধারণ করেছে। স্হানীয়দের আশঙ্কা সেতুর যা অবস্থা তাতে যেকোনো মুহূর্তে গাড়ি নীচে পড়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
অথচ এই রাস্তা দিয়েই আশেপাশের ১০-১২ টি গ্রামের প্রায় হাজার দু'য়েক লোক দৈনিক যাতায়াত করে। গলসী ২নং ব্লক অফিস, বাজার, কলেজ, এমনকি গলসী স্টেশনে যাওয়ার জন্য এই রাস্তাটি ব্যবহার করা হয়। এই রাস্তার ধারেই আছে সর স্বাস্থ্য কেন্দ্র। গ্রামবাসীদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তাটির কোনো রকম মেরামত করা হয়নি। প্রতি বার ভোটের প্রাক্কালে রাস্তা মেরামতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও ভোটের পর প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয় না। ফলে রাস্তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক স্হানীয় তৃণমূল নেতা বললেন - রাস্তার পরিস্থিতি সত্যিই খুবই খারাপ। আমাদের এলাকার বিভিন্ন রাস্তা ঢালাইয়ের হলেও এই রাস্তাটি আমাদের কাছে লজ্জার। আশাকরি রাস্তাটি মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্হা নেবে।
চেষ্টা করেও সড়ক দপ্তরের আসানসোল শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে এবিষয়ে তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।