কৃষি বিকাশ প্রকল্পের নব উদ্যোগ”কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রের”
সংগঠনের সদস্য ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তপসিল জাতি আদিবাসী প্রাক্তন সৈনিকদের নিয়ে গঠিত কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রের বিকশিত ভারত প্রকল্পে নতুন দিশা ঘোষণা করলেন সংগঠনের সম্পাদক সৌমেন কোলে।সোমেন বাবু জানালেন , নানা বন্ধুর পথ পেরিয়ে সোনার বাংলা গঠনের প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করতে কৃষি বিকাশের মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থানের একটি সম্ভাবনাময় দিগন্ত উন্মোচন করা। ইতিমধ্যেই সংগঠন কেন্দ্রীয় সরকারের ট্রাইবাল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এর স্বীকৃতি মিলেছে গত ২০২৩ এর ২৩ আগস্ট।
এই মুহূর্তে বৈদেশিক বাজারে প্রবল চাহিদাপূরণে কাঁকড়া ও চিংড়ি সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে চাষ সহ পাঁচটি প্রকল্প দিল্লির সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেওয়া হয়।প্রত্যেকটি প্রকল্প বিজ্ঞানসম্মত ও খরচ কম হওয়ায় আদর্শ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হয়। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর চব্বিশ পরগণা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সমুদ্র উপকূল অঞ্চলে যেসব গৃহবধূ কাঁকড়া মীন ও চিংড়ি মীন সংগ্রহ করেন তাঁদের কাছ থেকে মীন কিনে একদিকে যেমন তাঁদের আর্থিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করে দেওয়া সম্ভব হবে তেমন সংগঠিত প্রয়াসে তাঁদের উৎসাহ বৃদ্ধি করে এই সংগঠন বিজ্ঞানসম্মতভাবে মীন প্রতিপালন করে বিক্রয়ের উপযোগী করে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সঙ্গে থাকছে সিঙ্গী মাছ ও হাঁস প্রতিপালন। তবে হাঁসের চাষ মাংস বিক্রির জন্য নয়। মাছের প্রিয় খাদ্য হাঁসের তরল মল। যা সম্পুর্ণ ভাবে জৈবিক উপাদান। কারণ হাঁসের খাদ্য গুগলি।হাঁসের ডিমের খোল, সাদা ও হলুদ অংশ আলাদা আলাদা ভাবে সংগ্রহ করে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গুঁড়ো করে পুকুরে মাছে খাদ্য হিসেবে প্রয়োগ করা হবে। এই কর্মযজ্ঞ আশা করা যাচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু করা যাবে। ভবিষ্যতে বিদেশে চিংড়ি ও কাঁকড়া রপ্তানি করা ছাড়াও স্বাস্থ্যকর মাছ সিঙ্গি দেশজ বাজারে বিপণনের ব্যবস্থাও করা হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিকাশ কুমার মণ্ডল, হিন্দোল চট্টোপাধ্যায়, মৃদুল তরফদার, বিপ্লব রায় , শুভঙ্কর বিশ্বাস প্রমুখ। প্রত্যেকেই সংগঠনের সম্পাদক সৌমেন কোলের যোগ্য নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।