কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিয়োগে অনুমোদন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের
মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম কমিটির সুপারিশ মতে কেন্দ্রীয় সরকারের আইন মন্ত্রক গত শনিবার সারা দেশের ১৩ টি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ এবং বদলীতে নির্দেশ জারি করেছে।এইমুহূর্তে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বিচারপতি রাজেশ বিন্ডাল। তাঁকে এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে বদলি করা হয়েছে। বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট থেকে বদলি হয়ে এলেন। পাশাপাশি বিচারপতি রঞ্জিত ভি মোরেকে মেঘালয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি করা হয়েছে। এছাড়াও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এতদিন কর্নাটক হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁকে এবার তেলাঙ্গানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে।একইরকমভাবে বিচারপতি আর ভি মালিমাথ কে হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির পদ থেকে বদলি করে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিচারপতি রিতু রাজ অগাস্তিকে কর্নাটক হাইকোর্ট, অরবিন্দ কুমারকে গুজরাট হাইকোর্ট এবং প্রশান্তকুমার মিশ্রকে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।এছাড়াও বেশ কয়েকটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে অন্যত্র বদলিরও অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের আইন মন্ত্রক । ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে ছিলেন এ এ কুরেশি। তাঁকে রাজস্থান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে বদলি করা হয়েছে। বিচারপতি ইন্দ্রজিত্ মোহান্তিকে রাজস্থান হাইকোর্ট থেকে ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি করা হয়েছে। বিচারপতি মহম্মদ রফিককে মধ্য প্রদেশ হাইকোর্ট থেকে হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মেঘালয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারকে সিকিম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে বদলি করা হয়েছে এবং বিচারপতি এ কে গোস্বামীকে অন্ধ্র প্রদেশ থেকে ছত্তিশগড় হাইকোর্টে বদলি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্ডাল ঘিরে যথেষ্ট তরজা ছিল বা রয়েছে। বিশেষত নারদা মামলায় বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন থেকে নির্দেশ গুলি নিয়ে শাসক দলের ক্ষোভ প্রকাশ ঘটেছিল। পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় যেভাবে সিবিআই এবং সিট কে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে, তাতেও অনেক রাজনৈতিক নির্যাতিত পরিবার খুশি।পাশাপাশি চিটফান্ড মামলায় দ্রুত বিচারদানে বিচারপতি রাজেশ বিন্ডালের সক্রিয় অবস্থান আমানতকারীদের কাছে আশার আলো জুগিয়েছে। আবার মামলার বেঞ্চ হস্তান্তর নিয়ে বিচারপতিদের একাংশে ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কে ঘিরে।