মোল্লা ওয়াসিম আক্রাম,
সনিয়া ও রাহুল গাঁধী বিজেপি-বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছেন দেখে গত বৃহস্পতিবারই পওয়ার বলেছিলেন, কংগ্রেসকে নিজের মনোভাব বদলাতে হবে। বুঝতে হবে, এক সময় কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী কংগ্রেসের উপস্থিতি থাকলেও এখন আর তা নেই। কংগ্রেসকে পুরনো জমিদারদের সঙ্গেও তুলনা করেন পওয়ার বলেছিলেন, -কংগ্রেসের অবস্থা এখন সেই জমিদারদের মতো, যাদের এক সময় অনেক জমি ছিল। কিন্তু এখন ঘর মেরামতিরই অর্থ নেই! অথচ জমিদার ঘুম থেকে উঠে আশেপাশের সব জমি নিজের বলে গল্প শোনান! পাটোলের পাল্টা, ‘কংগ্রেস অনেক ব্যক্তির কাছে নিজের জমি দেখভাল করতে দিয়েছিল। কিন্তু তারা ওই জমি চুরি করেছেন, ডাকাতি করেছেন।’ তৃণমূল, এনসিপি যে কংগ্রেস ভেঙে তৈরি হয়ে কংগ্রেসের পুরনো ভোটব্যাঙ্কেই রাজত্ব করছে, সে দিকেই ইঙ্গিত করেছেন পাটোলে।এই নিয়ে তীব্র চাপানউতোর চলছে।
এনসিপি নেতা পওয়ারের এর আগে মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেছিলেন, সিবিআই-ইডির ভয়ে কংগ্রেস ঘরে ঢুকে পড়েছে। নেতারা তার জবাবে মুখ খুললেও কংগ্রেসের কোনও কেন্দ্রীয় নেতা মমতা-অভিষেককে পাল্টা আক্রমণ করেননি। উল্টে কংগ্রেস হাইকমান্ড প্রদেশ কংগ্রেসের প্রস্তাব নাকচ করে ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ বার পওয়ারের বিরুদ্ধেও কংগ্রেসের কোনও কেন্দ্রীয় নেতা মুখ খোলেননি। মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জবাব দিলেও সরাসরি পওয়ারকে নিশানা করেননি। তাঁর বক্তব্য, ‘পওয়ার প্রবীণ নেতা। তাই ওঁর বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাইছি না।’এই নিয়ে বিজেপি বিরোধী দলগুলির আভ্যন্তরীণ বিবাদ প্রকাশ্যে এলো।
তৃণমূল, এনসিপি-র এই আচরণে এআইসিসি-র নেতারা ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য, তৃণমূল, এনসিপি বিরোধী জোট রাজনীতির স্বার্থে কংগ্রেসকে নিজের জমি ছেড়ে দিতে বলছে। সব দায় কংগ্রেসের? তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে নিজের কিছু আসন এনসিপি-কে ছেড়ে দিয়ে, এনসিপি মহারাষ্ট্রে তৃণমূলকে নিজের কিছু আসন ছেড়ে দিয়ে জোটধর্ম পালন করছে না কেন?বিরোধী জোট রাজনীতিতে এহেন অবস্থানে খুশি বিজেপি নেতৃত্ব বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।