সুদীপ মন্ডল
৯ ই ডিসেম্বর ধর্মতলা গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এস এস সি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের নবম -দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের বঞ্চিত,ধর্ণারত চাকরি প্রার্থীদের ধর্ণার ১০০০ দিন পূর্ণ উপলক্ষ্যে মেধাবন্ধন কর্মসূচি,গণ কনভেনশন, অতিথিবৃন্দ-ধর্ণারত চাকরি প্রার্থীদের যৌথ গণ অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং দুপুর ১২ ঘটিকায় বঞ্চিত মেধাবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। পাশাপাশি দুপুর ১ ঘটিকা থেকে শুরু হয়
গণ কনভেনশন
এবং অতিথিবৃন্দ-ধর্ণারত চাকরিপ্রার্থীদের যৌথ গণ অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি। উক্ত অনুষ্ঠানে বিজেপি, কংগ্রেস, সি পি আই( এম), ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফন্ট,সি পি আই, আর এস পি, ফরওয়ার্ড ব্লক, জয়প্রকাশ জনতা দল, এস ইউ সি আই, ন্যাশনাল কনজারভেটিভ পার্টি সহ অন্যান্য বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা সহ বিভিন্ন যুব সংগঠন, ছাত্র সংগঠন গুলি বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের সমর্থন ও শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন। পাশাপাশি ৩৭ টি অরাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের নবম -দ্বাদশ স্তরের বঞ্চিত,ধর্ণারত চাকরি প্রার্থীদের সমর্থন জানাতে এসেছিলেন। অন্যদিকে বহু শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী , অভিনেতা সহ সমাজের বিশিষ্ট শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ চাকরি প্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে জমজমাট অনুষ্ঠান হয়। বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে বিমান বসু সহ প্রথম সারির দলীয় নেতারা, ছাত্র -যুব নেতারা গান্ধীমূর্তির পাদদেশে মিছিল করে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানিয়েছেন। পাশাপাশি বিজেপি যুব মোর্চার নেতৃত্বে ড. ইন্দ্রনীল খাঁ এর নেতৃত্বে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বড় মিছিল এসেছিল। তারা বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। অন্য দিকে তৃণমূল কংগ্রেস দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ গান্ধীমূর্তির পাদদেশে একটি ধর্ণা মঞ্চে আসলেও তিরিশ মিটার দূরত্বে ১০০০ দিন ধর্ণারত যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের নবম -দ্বাদশ স্তরের বঞ্চিত,ধর্ণারত চাকরি প্রার্থীদের মঞ্চে আসলেন না। ফলে নবম -দ্বাদশ স্তরের ধর্ণারত চাকরি প্রার্থীদের একটি অংশ ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের স্টেট কো- অর্ডিনেটর সুদীপ মন্ডল জানিয়েছেন যে তারা ১০০০ দিন ধরে ধর্ণায় বসে রয়েছেন। ধর্ণার ১০০০ দিন উপলক্ষ্যে যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চে মেধাবন্ধন কর্মসূচি,গণ কনভেনশন, অতিথিবৃন্দ সহ ধর্ণারত চাকরি প্রার্থীদের যৌথ বিশেষ গণ অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আটের অধিক রাজনৈতিক সংগঠন সহ ৩৭ টি অরাজনৈতিক সংগঠন, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, অভিনেতা, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন,যুব সংগঠন সহ রাজ্যের বহু বিশিষ্টজন তাদের সমর্থন ও শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ গান্ধীমূর্তির পাদদেশে একটি ধর্ণা মঞ্চে আসলেও তিরিশ মিটার দূরত্বে অবস্থিত আর একটি ধর্ণা মঞ্চে এলেন না। প্রতিদিন মঞ্চ গুলির রিপোর্ট সংগ্রহ করে সরকারের দপ্তরে পাঠানো হয়। সুতরাং গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এস এল এস টি এর দুটি ধর্ণা মঞ্চে চাকরি প্রার্থীরা ধর্ণারত এটা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র নিশ্চয় জানেন। জেনেও তিনি একটি মঞ্চে আসলেন না। এটা আমরা ভালো ভাবে নিচ্ছি না। এই ধরনের বিভাজননীতি তৈরি করা কি উচিত? শাসকদলের প্রতি প্রশ্ন বঞ্চিত, ধর্ণারত চাকরি প্রার্থীদের একটি বড় অংশের । এস এল এস টি চাকরি প্রার্থীদের জনপ্রিয় রাজ্য নেতৃত্ব সুদীপ মন্ডল আরও জানিয়েছেন যে নবম-দ্বাদশের মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের অবিলম্বে নিয়োগের জন্য সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তারা তীব্রতর আন্দোলনের পথে অগ্রসর হবে।