উপনির্বাচনে মমতার জয়ে ‘নেই’ পদ্ম শিবিরের সাংবাদিক সম্মেলন
ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় ,
বছরের প্রায় দিনেই বঙ্গ বিজেপির তরফে চলে সাংবাদিক সম্মেলন। তবে রবিবার উপনির্বাচনে মমতার জয়ে ‘নেই’ পদ্ম শিবিরের সাংবাদিক সম্মেলন। বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য প্রেস রিলিজ পাঠিয়েছেন সাংবাদিকদের কাছে! পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের জন্য ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়েছেন নব রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর ভবানীপুরের প্রার্থী যাবতীয় প্রতিক্রিয়া জানালেন ফেসবুক- টুইটারে। ভোট প্রচারে বড় ভূমিকা নিলেও ফল ঘোষণার দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেননি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর প্রাথমিক প্রবণতায় যখন দিনের ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার, তখন থেকেই নীরবতা দেখা গিয়েছে বিজেপি-র রাজ্য দফতরে। তৃণমূলের ঝোড়ো ইনিংস দেখে কর্মী-সমর্থকরা যখন বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতেছেন, তখন নিশ্চুপ বিজেপি-র দলীয় অফিস চত্বর। শুনশান করছে আশেপাশের এলাকা। নিরাপত্তার স্বার্থে মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশও।উপনির্বাচনে ভবানীপুর বিপুল ভোটে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিকে ভোটের ফল নিয়ে চুপচাপ বিজেপি-র সদর দফতরে। দেখা মেলেনি রাজ্য নেতাদের। নেই কোনও সাংবাদিক বৈঠকও। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে গেরুয়া শিবির। তাতে রবিবার ঘোষিত তিন আসনের ফলই দলের কাছে অনভিপ্রেত ছিল বলে জানানো হয়েছে।রবিবার জয় নিশ্চিত হতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নন্দীগ্রামের চক্রান্ত নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। উল্টো দিকে, ভবানীপুরে ভোট নিয়ে প্রিয়ঙ্কার দাবি, ”ঠিক ভাবে ভোট হয়নি। ছাপ্পা, রিগিং চলেছে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন ভবানীপুরের এই বিজেপি প্রার্থী। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘মানুষের স্নেহ আর নেতা-কর্মীদের দলের প্রতি ভালবাসা দেখে আমি অভিভূত। তাঁরা আমার থেকেও অনেক বেশি খেটেছেন। আমি তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। মানুষের সেবা এবং আরও কাজ করব আমি।” সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ”শাসক দল যে ভাবে ভয় দেখিয়েছে, আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করেছে, তাতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই আমি চালিয়ে যাব।”