ইডির মত সিবিআইয়ের চার্জশিটেও ‘মাস্টারমাইন্ড’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়
পারিজাত মোল্লা ,
পঞ্চমীর দিন অর্থাৎ শুক্রবার আদালতে এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের তরফে চার্জশিট দাখিল হয়েছে। এর আগে আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির চার্জশিটে স্পষ্ট করে উল্লেখ ছিল, -‘ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘মাস্টারমাইন্ড’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়।এবার সিবিআই তাদের দাখিল চার্জশিটে ইডির মাস্টারমাইন্ড তকমা কে স্বীকৃতি দিল। পঞ্চমীর দিন সিবিআই এসএসসি দুর্নীতি মামলায় তাদের প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে আদালতে।সিবিআই চার্জশিটে জানিয়েছে, -‘ যা দুর্নীতি হয়েছে এসএসসিতে তার মাস্টারমাইন্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই’।জানা গেছে, সিবিআইয়ের চার্জশিটে মোট ১৬ জনের নাম রয়েছে। সেই তালিকায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়(৬ নম্বরে) , ছাড়াও উল্লেখযোগ্য হল শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সরকার এবং কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।সম্প্রতি আদালতে শুনানি পর্বে এসএসসি মামলায় পার্থবাবুর আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, -‘ মন্ত্রী হিসেবে তিনি কিছুই জানতেন না। তাঁকে এড়িয়েই স্কুল সার্ভিস কমিশন সব করেছে’। তবে সিবিআইয়ের চার্জশিটে লেখা হয়েছে, -‘ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অজ্ঞাতে কোনও ঘটনাই ঘটেনি। বরং বলা যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই দুর্নীতির বিষয়ে বিশেষভাবে অবগত ছিলেন’।সিবিআই চার্জশিটে এও জানিয়েছে , কিভাবে বেআইনি নিয়োগ হবে,? কোন কাজ কে কী ভাবে করবে? তা সবটাই পার্থ চট্টোপাধ্যায় করতেন । অর্থাত্, কীভাবে একজনের জায়গায় অন্য জন চাকরিতে ঢুকবে, নম্বর বদল হবে, কে কার থেকে টাকা নেবে, কীভাবে সেই টাকা তোলার প্রক্রিয়া হবে তা পার্থবাবুর পরিকল্পনার ফসল ।এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির বিরুদ্ধেও সিবিআইয়ের চার্জশিটে বিস্তারিত তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছে । বলা হয়েছে, দুর্নীতির এজেন্সি হয়ে উঠেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটি। যার চেয়ারম্যান ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা। সদস্য ছিলেন অশোক সরকার।উল্লেখ্য , প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিত বাগের কমিটি যে রিপোর্ট হাইকোর্টকে জমা দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ কে, সেখানেও এই উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করাকেই অবৈধ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এবং বাগ কমিটির রিপোর্টে এও উল্লেখ ছিল, শিক্ষক নিয়োগের এই সীমাহীন দুর্নীতি বাস্তবায়িত করেছিল এই কমিটি। তা করার জন্যই কমিটি তৈরি করেছিলেন তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।ইডির পর সিবিআইয়ের মাস্টারমাইন্ড তকমা বিশিষ্ট চার্জশিট প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে আরও আইনী বিপাকে ফেলে দিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।