ই-রুপির যাত্রা শুরু হল নির্বিঘ্নে গতকাল:
পার্থপ্রতিম সেন (প্রাক্তন চেয়ারম্যান পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাংক)
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভারতবর্ষে ডিজিটাল মুদ্রা চালু করার প্রথম পরীক্ষামূলক প্রয়াসের অংশ হিসেবে গতকাল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং ব্যাঙ্ক অফ বরোদার মধ্যে প্রথম ডিজিটাল মুদ্রা বা ই-রুপির মাধ্যমে সরকারী ঋণপত্র কেনাবেচা হল।
তারপর আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক সরকারি ঋণপত্র বিক্রি করে আইডিএফসি ফার্ষ্ট ব্যাঙ্কের কাছে।
ঐদিন মোট ৪৮ খানা কেনাবেচায় মোট ২৭৫ কোটি টাকার ট্রেডিং বা ব্যবসা হয়।
প্রথম এই ই-রুপির মাধ্যমে ব্যাঙ্কদের মধ্যে সরকারি ঋণপত্র কেনাবেচার ক্ষেত্রে কোন ধরণের কোনো সমস্যার উদ্ভব হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রে জানা যায়।
ব্যাঙ্ক ট্রেজারি অফিশিয়ালরা গতকালের নির্বিঘ্নে সম্পন্ন ই-রুপির এই যাত্রাকে এক যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
কারণ সেটার মধ্যে ঋণপত্র সেটেলমেন্টের কোনো ঝুঁকি ছিলনা।
প্রথাগত ভাবে সিকিউরিটিজ বা ঋণপত্র কেনাবেচার ক্ষেত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝখানে ক্লিয়ারিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া ঋণপত্র সেটেলমেন্টের কাজটা করে কেনাবেচার একদিন পর।
কিন্তু ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করে ঋণপত্র কেনাবেচা করলে কোনো ক্লিয়ারিং কর্পোরেশনের প্রয়োজন হয়না এবং ঋণপত্রের সেটেলমেন্ট রিয়েল টাইম ভিত্তিতে অর্থাৎ সাথে সাথে হয়ে যায়, তবে ব্যাঙ্কদের বা ক্রেতা বিক্রেতার রিজার্ভ ব্যাংকের সাথে ডিজিটাল মুদ্রার একাউন্ট থাকতে হবে।
ঋণপত্রের কেনাবেচা এবং লেনদেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের
“নিগোশিয়েটেড ডিলিং সিস্টেম – ওর্ডার ম্যাচিং” প্লাটফর্মে হয় এবং প্রত্যেকটা লেনদেন ঐ প্লাটফর্মে দেখা যায় ও রসিদপত্র পাওয়া যায়। অর্থাৎ খুবই স্বচ্ছ ব্যবস্থা এবং এই ক্ষেত্রে কোনো ধরণের কোনো ফ্রড বা ঠকবাজি করার সুযোগ নেই।