আসানসোল পুরনিগম নির্বাচনে বিজেপির প্রচারের প্রাক্তন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র গান
- কাজল মিত্র :-আসানসোল পুরভোটের প্রচারে এসেছেন বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি।তিনি এদিন আসানসোলের ১০৩ নং ওয়ার্ডে দলের প্রার্থীর হয়ে যে টোটোতে চেপে প্রচার করছেন তাতেই বাজছে বাবুলের গান “দিদির পায়ে হাওয়ায় চটি ভাইয়েরা সব কোটিপতি” গান। কুলটি এলাকায় তিনি বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে আসেন। আর এই প্রচারেরই শোনা গেল বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া সেই বিখ্যাত গানটি।
আসানসোলের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসে । অথচ তার গাওয়া এই জনপ্রিয় গানটি এখন বাজছে আসানসোলের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে।এদিনে কুলটিতে পুর ভোটের প্রচারে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে বিব্রত করতেই প্রচার গাড়িতে বাজানো হচ্ছে বাবুলের গাওয়া “এই তৃণমূল আর না ” গানটি।স্বাভাবিক ভাবেই পুর ভোটের প্রচারে এবার নতুন করে শাসক দল ও বিরোধী দলের মধ্যে রাজনৈতিক চাপান উতর শুরু হয়েছে।
বাবুলের গাওয়া এই গানে মেতে উঠে সারা বাংলা। বিজেপির প্রচারে এই গানে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই গানে তীর্যক ভাষায় আক্রমন করা হয়েছিল।
এখন বিজেপি ছেড়ে বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেসে। কিন্তু বাবুলের গাওয়া গানটি ছাড়েননি বিজেপি নেতা ও কর্মীরা।
আসানসোলে পুর ভোটের প্রচারে আসা বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরিও মনে করেন বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেসে চলে গেলেও গানের বিষয়বস্তু ও সমস্যা একই রয়েছে।ত্রিপুরার মতই আমরা তার গাওয়া সেই গানটি এবার বাজানো শুরু হয়েছে আসানসোল পুর ভোটের প্রচারে। তিনি আরো বলেন, বাবুল সুপ্রিয় একজন গায়ক হিসাবে আমাদের দলের হয়ে গানটি গেয়েছিলেন। এখন ঐ গান বাজানোতে কোন দোষ নেই।
যদিও পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বেরY দাবি তারা এই গান বাজানো নিয়ে আদৌও বিব্রত নন। একজন শিল্পী হিসাবে বাবুল সুপ্রিয় ঐ গান গেয়েছিলেন।গান দিয়ে ভোট হয় না। ভোট হয় উন্নয়ন আর কাজের নিরিখে।