অভিযুক্তের সম্মতি নেই,সঞ্জয়ের নার্কো টেস্টের আবেদন খারিজ করলো শিয়ালদহ আদালত
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে বড়সড় আইনী ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।আরজিকর হাসপাতালে ধর্ষণ-খুনের মামলার তদন্তে এবার নারকো টেস্টে সম্মতি দিলেন না জেল হেফাজতে থাকা সঞ্জয় রায়। এদিন শিয়ালদহ আদালতে এ বিষয়ে নিজের সম্মতি দেয়নি সঞ্জয় । এরফলে বিচারক নারকো টেস্টের অনুমোদন দিলেন না। শিয়ালদহ আদালতের এই নির্দেশে সিবিআই জোর ধাক্কা খেল, তা মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল । ইতিমধ্যেই ধর্ষণে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়েছে। এরপর ধৃত সঞ্জয় রায়ের নারকো টেস্ট করাতে চেয়েছিল সিবিআই। আর এতেই হয়ত বেরিয়ে আসতে পারত সবকিছু, যা হয়ত এতদিন লুকিয়ে গিয়েছে সঞ্জয়।বেরিয়ে আসতে পারত অজানা তথ্য । তাই আ জিকর কাণ্ডে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের তথ্য যাচাইয়ে নারকো টেস্ট করাতে চেয়েছিল সিবিআই । কিন্তু নারকো টেস্ট করাতে গেলে যার ওপর করা হবে, তার অনুমতি থাকাটা একপর্যায়ে বাধ্যতামূলক । কিন্তু তাতে নারাজ চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় । নারকো টেস্টের জন্য সম্মতিই দেয়নি সঞ্জয় রায়। তাই সিবিআইয়ের আবেদন খারিজ করে দেয় শিয়ালদহ আদালত।খুব জটিল অপরাধ সংক্রান্ত মামলায় তদন্তকারীরা নারকো টেস্ট করে থাকেন। অনেক সময় দেখা যায় , জেরায় কিছুতেই ঠিক কথা বলছে না অভিযুক্ত, কিছুতেই বেরোচ্ছে না সত্যিটা। অনেক সময় আবার তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। তখন তদন্তকারী আধিকারিকরা কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। যেমন পলিগ্রাফ টেস্ট । তাতেও সন্তোষজনক ফল না মিললেন, নারকো টেস্টের প্রয়োজন হয়। নারকো টেস্টে কোনও ব্যক্তিকে ওষুধের প্রয়োগে এমন একটা অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি স্বাভাবিক চেতনায় থাকে না। তখন যে কথাগুলো সে চেপে যাওয়ার চেষ্টা করছিল, তাও বেরিয়ে পড়তে পারে। অবচেতন মনের মধ্যে থাকা অপরাধের কথা বলে ফেলতে পারে অভিযুক্ত। সেই টেস্ট সঞ্জয়ের ওপরও করতে চেয়েছিল সিবিআই । কিন্তু তা হল না।