কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য সতর্কতা বিধি অবলম্বনে চিত্তরঞ্জন প্রশাসন
কাজল মিত্র
:- সম্প্রতি করোনা পজিটিভ রোগীদের সংখ্যা চিত্তরঞ্জন শহরে বেড়েই চলেছে যা স্থানীয় মানুষের কাছে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য যে সমস্ত সতর্কতা বিধি অবলম্বন করা সত্ত্বেও এই রেল নগরীতে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।বর্তমানে চিরেকার অন্তর্গত কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতালে ৫ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর চিকিৎসা চলছে। সম্প্রতি এসব রোগীরা জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ নিয়ে কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতালে আসেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এদের হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। পরে এদের লালা রসের নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রোগীদের করোনা পজিটিভ রিপোর্টের খবর ছড়িয়ে যেতে এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।চিরেকার প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং কঠোর হাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।প্রশাসনের তরফ থেকে সকল আবাসিক বৃন্দের কাছে আবেদন করা হচ্ছে যেন তারা ঘরের বাইরে সব সময় ফেস মাস্ক এর ব্যবহার করেন এবং নিয়মিত ভাবে হাতে স্যানিটাইজার বা সাবানের ব্যবহার করুন। অফিস কিংবা বাজার সর্বত্রই যেন সামাজিক দূরত্বের পালন করুন।চিত্তরঞ্জন কর্তৃপক্ষ এর তরফে চিত্তরঞ্জন এর সমস্ত প্রবেশদ্বার গুলিতে আরপিএফ ও আধিকারিক মোতায়েন করা হয়েছে । মূল গেট কিংবা অফিসে প্রবেশের জন্য পরিচয় পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জিএম অফিস, ওয়ার্ক অফিস, কারখানা ও অন্যান্য সহযোগী অফিস গুলিতে প্রবেশের জন্য অফিসে আইডেন্টিটি কার্ড বাধ্যতামূলক এবং আসা যাওয়া সকলের থার্মাল স্কেনিং করার পর তাদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হবে। অফিসের সকল কর্মীদের জন্য ফেস মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ অফিস কিংবা কারখানায় কর্মরত সকল কর্মচারীদের ফেস মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব বিধির নিয়মের উপর বিশেষ নজর রেখেছে।
এলাকার সকল বাসিন্দাদের কাছে চিত্তরঞ্জন প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুরোধ হয়েছে যেন কোভিড-১৯ এ সংক্রমণের প্রতিরোধে নির্ধারিত বিধি নিষেধ পালনের ক্ষেত্রে কোন গাফিলতি না করেন।আশা করা যায়,
চিত্তরঞ্জনের সকল বাসিন্দা এবং ডানকুনি ইউনিটের সকল কর্মী কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে এবং নির্ধারিত বিধিনিষেধের পালন করে এই বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীকে পরাজিত করবে।