শুভদীপ ঋজু মন্ডল,
মিলন উৎসব ৩৪ বছর পর সবাই একসাথে। ১৯৮৬-৮৭ শিক্ষাবর্ষে বর্ধমান জেলার শিক্ষা নিকেতন সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া শিক্ষার্থীরা আজ হাজির হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন সতীশচন্দ্র কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হল ঘরে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পুনর্মিলন উৎসব অনুষ্ঠিত হলো। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয় এর। অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নলিনী রঞ্জন সরকার, প্রধান করণিক অতসী সরকার, বিশিষ্ট সমাজসেবী জয়দেব মুখার্জি, শিক্ষা নিকেতনের সভাপতি তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, রাঁধুনি কিষান রাজবংশী সহ বিশিষ্ট মানুষজন। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নলিনী রঞ্জন সরকার। শ্রী সরকার তার ভাষণে বলেন আমার জীবনের জীবন সায়াহ্নে এসে এই ধরনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত বোধ করছি। কারণ শিক্ষকতা জীবনে ছাত্র-ছাত্রীদের এই পুনর্মিলন এত বছর পর এটা ভাবা যায় না, তাছাড়া সেদিন যারা শিক্ষার্থী ছিল তারা আজ সবাই শিক্ষক শিক্ষিকা সবাই প্রতিষ্ঠিত, তারা যে আমাকে মনে রেখে সংবর্ধনা সভার আয়োজন করেছে তা দৃষ্টান্তমূলক। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও আমি সেই সন্তানসম শিক্ষার্থীদের ডাকে সাড়া না দিয়ে পারলাম না, আমি অভিভূত। কলেজে ইতিহাস তৈরী হল। সমাজসেবী জয়দেব মুখার্জী বলেন প্রকৃত শিক্ষার উদাহরণ এটাই, যারা শিক্ষাটা ঠিকমতো নিতে পারেন তারাই এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেন। সবাই একসাথে মিলিত হতে পেরেছেন। আজকের মিলনমেলায় সভায় উপস্থিত অতিথিদের সম্বর্ধনা জানানো হয়। এছাড়া সম্বর্ধনা জানানো হয় ঐ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বর্তমানে বাঁকুড়া জেলার জঙ্গলমহলের নেতুরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাধন কুমার মন্ডল কে যিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক শিক্ষারত্ন সম্মানে সম্মানিত। তাছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও অংশগ্রহণ করে। এছাড়া তাদের উদ্যোগে একটি স্মরণিকা সাঁঝবাতি প্রকাশ করা হয়। স্মরণিকা প্রকাশ করেন উপস্হিত অতিথিরা । ওই শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মনের কথা প্রকাশ করতে পেরেছে বলে জানান উপস্হিত সমাজসেবী জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। এই ধরনের একটি অনুষ্ঠান করতে পেরে খুশি সকলেই। যাদের উদ্যোগে এই ইতিহাস রচিত হল তারা হলেন শিক্ষিকা রুমা মজুমদার, সমীর কুমার রায়, বৈদ্যনাথ রায়, রাজকুমার রায় অতসী রায়, মদন চ্যাটার্জী, লীনা চ্যাটার্জী প্রমূখ