খায়রুল আনাম,
জেপি নাড্ডার রথযাত্রা দিয়েই জেলায় ভোট ময়দানে নামছে বিজেপি
রাজনৈতিক দিক থেকে সর্বদাই সরগরম হয়ে থাকছে বীরভূম জেলা। বোমা, গুলি, খুন, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা থেকে শুরু করে, রাজনৈতিক ময়দানে কু-কথায় রবীন্দ্রনাথ, তারাশঙ্করের জেলা এখন রাজ্য ছাড়িয়ে সারা দেশের নজরে চলে এসেছে। আর তাই আসন্ন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলির এখন এই জেলাকেই পাখির চোখ করে তুলেছে। জেলা বীরভূমকে বিজেপি যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তাদের নজরে রেখেছে, তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইতিমধ্যেই একাধিকবার জেলায় এসে রাজনৈতিক কর্মসূচী থেকে তাঁর বহু চর্চিত ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচীতে যোগ দিয়েছেন। এবার দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জেলায় নিয়ে এসে, পুরোদমে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নেমে পড়ছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যেই বোলপুরে রোড-শো করে তাতে দলীয় কর্মীদের ঢল নামিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। সেই পথ ধরেই আজ ৯ ফেব্রুয়ারি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জেলায় এসে দলের বহু চর্চিত পরিবর্তন রথযাত্রার সূচনা করে নির্বাচনী দামামা বাজাবেন বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। তারাপীঠে পুজো দিয়ে তিনি রামপুরহাটের হাঁসন বিধানসভা এলাকা থেকে এই রথযাত্রার সূচনা করবেন। এখানকার চিলার মাঠে একটি প্রকাশ্য জনসভা করার কর্মসূচীও রয়েছে তাঁর। জেলার ১১টি বিধানসভা এলাকার ৩২৮ কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করে ১৩ ফেব্রুয়ারি এই পরিবর্তন রথ রাজনৈতিক দিক থেকে উত্তেজনাপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত নানুরের কীর্ণাহার হয়ে তা চলে যাবে পাশের পূর্ব বর্ধমান জেলায়। ওইদিন কীর্ণাহারে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সাথে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। আর তার আগে জেলায় দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে ১০ ফেব্রুয়ারি মল্লারপুরে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, ১২ তারিখ দুবরাজপুরে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও রাজ্যের মন্ত্রীত্ব এবং দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে প্রকাশ্য জনসভা করার কর্মসূচী নিয়েছে বিজেপি ।। ল
406 12,89,834