জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
ঝুলনের আনন্দে মেতে উঠল জালপাড়ার কচিকাঁচারা। করোনার প্রসার রোধ করার জন্য গত প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে চলছে লকডাউন। সমস্ত ধরনের সামাজিক বা ধর্মীয় উৎসব প্রায় বন্ধ। তারই মাঝে নবকুমার পাল, সুস্মিতা ঘোষ, সঞ্জু পাল, রিক্তা পাল, ঝর্ণা দাস, মৌমিতা ঘোষ, সুপর্ণা বৈরাগ্য, রাজু গড়াই, আকাশ গড়াই, অসীম পালদের কেউ সাজল কৃষ্ণ, কেউবা রাধা, রাবণ, সীতা, ক্ষুদিরাম বা পাগল। দমবন্ধ পরিবেশে নিয়ে এল আনন্দের ঝলক।নিজেরাও আনন্দ পেল অপরকেও আনন্দ দিল।প্রত্যেকের ভূমিকা উপস্থিত দর্শকদের প্রভূত আনন্দ দিয়েছে।
ঝুলনে কচিকাচাদের সাজানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড়ো ভূমিকা নিয়েছে গ্রামের মেয়ে পূর্ণিমা পাল ও বৃষ্টি গড়াই। পূর্ণিমা বললেন – আমরা জানি করোনার জন্য কিছু বিধিনিষেধ চলছে। এদিকে ঐ বাচ্চা ছেলেমেয়েদের আব্দার। দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দী থেকে ওরাও মানসিক দিক দিয়ে বিপর্যস্ত। তাই সবদিক বজায় রেখে ওদের নিয়ে ঝুলন করলাম।যথেষ্ট দর্শক হলেও গ্রামবাসীদের সহযোগিতার জন্য সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় ছিল।
অভিভাবক বরুণ গড়াই, গঙ্গাধর পালদের বক্তব্য – ঝুলনের কথা শুনে আমরা চিন্তিত ছিলাম। আবার বাচ্চাদের করুণ মুখের দিকে তাকিয়ে খারাপও লাগছিল। তবে যারা ঝুলন দেখতে এসেছিল তাদের সহযোগিতার জন্য কোনো অসুবিধা হয়নি।
