কেন্দ্র থেকে উড়ে এসে অমিত শাহরা বারবার পশ্চিম বাংলায় এসে বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত চালাচ্ছে। এর আগে ৩৪ বছর বাংলা ছিল সিপিএম হার্মাদ বাহিনিদের দখলে। নিশাপুর সহ সারাবাংলা ছিল উত্তপ্ত। প্রতিনিয়ত চলত খুনোখুনি। ধ্বনিত হত স্বজনহারাদের কান্নার রোল। রাস্তাঘাট ছিল কঙ্কালসার। ছিলনা উন্নয়নের ছোঁয়া। মা মাটি সরকার প্রতিষ্ঠার পর সর্বত্র চলছে উন্নয়নের জোয়ার। মহান নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৬৩টি প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে রাজ্যবাসীকে দিয়েছেন দ্বিতীয় স্বাধীনতা।’ শনিবার মন্দির বাজার থানা এলাকার নিশাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত আয়োজিত কুসুমিকা মিশন পাশ্বস্থ ময়দানে সম্প্রীতি মেলার উদ্বোধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা দপ্তরের মন্ত্রী গিয়াস উদ্দিন মোল্লা।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, কেন্দ্র সরকার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। দেশের দুই কোটি বেকারের ব্যাংকে টাকা দেওয়ার নামে করেছে প্রতারণা। দেশের কৃষকদের পেটে লাথি মারার চক্রান্ত। দিল্লিতে দীর্ঘদিন কৃষক আন্দোলন চললেও সরকারের হেলদোল নেই। উন্নয়ন নয় ,প্রকৃত অর্থে এই সরকার জাতি দাঙ্গা বাঁধিয়ে দেশকে টুকরো টুকরো করার চেষ্টা করছে।
বিধায়ক জয়দেব হালদার বলেন, কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন সরকার আমরা-ওরা বিভাজন করে দেশকে ভাগ করতে চায়। এর প্রতিবাদে সমস্ত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
রক্তদান শিবির, শীতবস্ত্র প্রদান,কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের পুস্তক বিতরণ ও সংবর্ধনা পর্বের মধ্য দিয়ে সম্প্রীতি মেলার সূচনা হয়। চলবে 5 দিনব্যাপী। বদনি সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, বিধায়ক জয়দেব হালদার, মন্দিরবাজার ব্লক বিডিও কৌশিক সমাদ্দার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন হালদার, সমাজসেবী রইস মোল্লা,জেল পরিষদ কর্মদক্ষ গৌতম গায়েন, সমাজসেবী শাজাহান লস্কর, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ উম্মেহানি হালদার ও রুনা লস্কর, মন্দিরবাজার আইসি শান্তি নাথ পাঁজা, নিশাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আজিজুল সরদার, আবু জাফর ধাবক, উজির আলী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন ইকবাল মোল্লা।