সাধন মন্ডল,
বাঁকুড়ার ঐতিহ্যবাহী মেলা গুলির মধ্যে অন্যতম কেঞ্জাকুড়ার মুড়ি মেলা। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও কেঞ্জাকুড়ার সন্নিকটে দারকেশ্বর নদের চরে বসে ছিল মুড়ি মেলা, হাজির হয়েছিলেন বাঁকুড়া পুরুলিয়ার প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ। সারা নদীর চরে মুড়ির ছড়াছড়ি। বিভিন্ন জায়গায় গামছা পেতে, পাতা পেতে আবার কেউ কেউ তালই পেতে সপরিবারে মুড়ি মেখে বসেছে মুড়ি খাওয়ার জন্য। প্রতি বছরের মতো আজকের দিনে অর্থাৎ মাঘ মাসের চার তারিখ দারকেশ্বর নদের কাছে সঞ্জীবনী মাতারা আশ্রমের পাশে বসে এই মেলা। মুড়ির সাথে থাকে চপ, সিঙ্গাড়া, বেগুনি, ঘুগনি, কাঁচা লঙ্কা,, পেঁয়াজ, ধনেপাতা, টমেটো ইত্যাদি। অনেকেই বাড়ী থেকে মুড়ি নিয়ে আসেন আবার অনেকেই মেলায় মুড়ি কিনে পাত পেড়ে খান। মুড়ি মেলায় আসা ফেঙ্গা বাসা গ্রামের পায়েল মন্ডল, রিঙ্কু মন্ডলরা বলেন আমরা প্রতি বছর এই মেলায় আসি এই মেলায় এসে নদীর চরে বসে হাজার হাজার লোকের সাথে মুড়ি খাওয়ার আনন্দই আলাদা। সঞ্জীবনী মাতার আশীর্বাদ নিতে আসেন অনেকেই সাথে মুড়ি মেলা একটা আলাদা মাত্রা যোগ হয়। অনেক রকম মেলা দেখেছি কিন্তু আজ প্রায় দশ বছর আমরা এই মেলায় আসছি এই রকম মেলা কোথাও চোখে পড়েনি সম্ভবত সারা রাজ্যের মধ্যে এক নম্বরে বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়ার এই মুড়ি মেলা। একটাই মেলা এখানে উল্লেখ্য মাঘ মাসের পয়লা তারিখ থেকে সঞ্জীবনী মাতার আশ্রমে নাম সংকীর্তন চলে শেষ দিনে অর্থাৎ মাসের চার তারিখে মুড়ি মেলার আয়োজন হয় মুড়ি খাওয়ার পর সঞ্জীবনী মাতার প্রসাদ খেয়ে বাড়ি যান মেলায় আসা মানুষজন। অপেক্ষায় আরও একটি বছর
151 12,89,834