আত্মহত্যায় মৃত পরিবারের পাশে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস
কাজল মিত্র
:- লকডাউনের তীব্র আর্থিক সঙ্কটের কারনে বেড়েই চলেছে আত্মহত্যা আর যার জন্য আর্থিক সঙ্কটের কারনে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন সালানপুর ব্লকের গৌরান্ডি রোডের বাবু কাঠগোলার কাছে উদয় পল্লীর বাসিন্দা সনৎ সেন।
আর সেই খবর পেতেই মৃত সনৎ সেনের পরিজনের সাথে দেখা করতে আসেন বারাবনি বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় , সালানপুর ব্লকের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং ও জেলাপরিষ এর কর্মাধ্যক্ষ
মহম্মদ আরমান ।
এইদিন পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের অবস্থার কথা শোনেন। অভাবীর পরিবারে তার স্ত্রী এক পুত্র ও এক কন্যাকে নিয়ে বসবাস করতেন সনৎ সেন ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত সনৎ কুমার সেন দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ছিলেন। লকডাউন এর পর থেকেই চার মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ব্যাবসা । যার কারনে একদিকে সংসারের খরচ অন্যদিকে চিকিৎসার খরচ চালানোর জন্য বহু মানুষের কাছে ধার-দেনায় জড়িয়ে পড়ে ।এবং মানসিক চাপে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ।
তবে পরিবারের পাশে এসে বিধায়ক জানান যে পরিবারের এই আর্থিক দুরবস্থার কথা জানা ছিলনা আমাদের জানা থাকলে আজকে হয়ত তাকে পৃথিবী ছেড়ে যেতে হতনা এতে আমরাও মর্মাহত।এইরকম যে কোন পরিবার যাদের অসুবিধা রয়েছে তারা আমাদের জানালে অবশ্যই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেব ।তিনি এদিন ওই মৃতার পরিবারের পাশে থেকে তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে এই পরিবারে একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে যার মধ্যে ছেলেটির ও শারীরিক অবস্থা ঠিক নয় তাই তিনি সালানপুর ব্লকের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং কে বলেন তাদের পরিবারের যা যা সাহায্যের প্রয়োজন তা দেখার জন্যে ।
পরিবারের মধ্যে থেকে এক আত্বীয়া স্বপন সেন জানান এই অসময়ে তাদের পাশে বিধায়ককে পেয়ে মনে জোর পেয়েছেন।তাছাড়া তিনি বলেন বিধায়ক পরিবারের পাশে থেকে আর্থিক সহায়তা সাথে সাথে পাশে থাকার আশ্বাস দেন ।পরিবারের সকলে বিধায়ক কে ধন্যবাদ জানান ।এদিন
বিধায়কের সাথে ছিলেন সমাজ সেবী উদয় ঘোষ, অরূপ রক্ষিত, বাপি ভাণ্ডারী, সহ অনেকে ।