নিজস্ব প্রতিনিধি: এদেশ, এ মাটি ভিজেছে শহীদের রক্তে। ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজ সরকার বাহাদুর এদেশের মাটি মানুষ কে দাবিয়ে করেছে শাসন ও শোষণ। পরাধীনতা নয়, স্বাধীনতা পেতে ও স্বাধীনতার স্বাদ আনতে শহীদ বীর তিতুমীর বুক চিতিয়ে লড়াই করে যান বাঁশেরকেল্লা গড়ে। কেবল আজাদী আন্দোলনে নয়, দরিদ্র কৃষকদের যন্ত্রণা তাঁর বুকে বেজে ছিল। হতদরিদ্রদের সঙ্গে নিয়ে লড়ে যান বীর বিক্রমে শোষকদের বিরুদ্ধে।
সংগ্রামে অংশ নিতে গিয়ে ইংরেজদের গোলাবারুদে পুড়ে বীর তিতুমীর হন ছারখার। তিনি ও তার সংগ্রামী সাথীরা নত হননি। জীবন দিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদে গর্জে উঠে শুনিয়েছেন সিংহের নিনাদ।
শহীদ তিতুমীর আজও প্রেরণা’। লাখো লাখো কৃষক নয়াকৃষি আইনের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে দিল্লির রাজপথে। প্রায় দুই মাস অনশনে অর্ধশত কৃষক দেন প্রাণ বলিদান। কনকনে শীত কে উপেক্ষা করে গর্জে উঠতে ভোলেনি অন্যান্য কৃষকগণ। শহীদি খুনে আরো জেগে উঠেছে লাখো লাখো কৃষক। প্রতিবাদী অন্নহীন ক্ষুধাতুর কৃষকরা শত কষ্টের মধ্যে থেকেও মাথা উঁচিয়ে।
জানুয়ারিতেই বীর তিতুমীরের জন্ম। দেখতে দেখতে ২০০ বছর পেরিয়ে। সেই সংগ্রামী বীরের আত্মত্যাগের জীবন কাহিনী আলোকপাতের মধ্য দিয়ে ত্যাগী হওয়ার প্রেরণা পেতে বাংলার রেনেসাঁর উদ্যোগে গ্রন্থাকারে-‘শহীদ বীর তিতুমীর’প্রকাশ ও তিতুমীরের জীবন আলোকে স্বরচিত ছড়া, কবিতা ও বক্তৃতা প্রাণোচ্ছলতায় ভরপুর হয়ে ওঠে।
৩ জানুয়ারি ২০২১ উস্তি থানার রাজারহাট নলেজ সিটিতে বাংলার রেনেসাঁ আয়োজিত’ কবি ও বুদ্ধিজীবী সমাবেশে’রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কবিদের কন্ঠে ধ্বনিত হয় শহীদ তিতুমীরের আত্মত্যাগী জীবন আলোকপাতে স্বরচিত কবিতা।
মাওলানা, মহারাজ, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, কবি ও শিল্পীদের কোরাস কণ্ঠে ধ্বনিত হয়,-তিতুমীরের বাংলা সম্প্রীতির বাংলা/ তিতুমীরের রক্ত শহীদী রক্ত/আমরা চাই সম্প্রীতি/আকাশ বাতাস গায় গীতি।
অপরদিকে বাসন্তী থানার শিমুলতলা হাসপাতাল মোড়ে এক মহাসমাবেশে ১০ জানুয়ারি ২০২১ আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় আজিজুল হক সম্পাদিত-‘শহীদ বীর তিতুমীর।’গ্রন্থটি সংগ্রহের জন্য আপামর জনতার উচ্ছাস লক্ষ্য করা যায়।