উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,
, কুলতলি : রাতে জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ঠিক মতন না থাকায় বাড়ছে বাঘের আনাগোনা বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা।স্থানীয় সূএে জানা গেল,
দীর্ঘ দিন যাবৎ কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ উপকূল থানা এলাকার সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া দেউলবাড়ি, দেবীপুর, মৈপীঠ, বিনোদপুর, গুড় গুড়িয়া,মাধবপুর, নগেনাবাদ, ভুবনেশ্বরী সহ আশে পাশের বেশ কিছু এলাকায় লোডশেডিং ও লোভোল্টেজের জেরে সমস্যায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্কুল পড়ুয়ারা। দৈনন্দিন জীবনে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম মোবাইলটা ও চার্জ দেওয়ার মতো ভোল্টেজ নেই এখানে। তাঁর উপর লোকালয়ে বারংবার বাঘ ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটায় চরম উৎকন্থায় দিন কাটছে এই এলাকার মানুষদের।এলাকার সমাজ কর্মী পিন্টু প্রধান, অশোক মন্ডল, সুজাতা প্রধান সহ আরো কয়েকজন গ্রামবাসী বললেন,মৈপীঠ বৈকুন্ঠপুর এলাকা সংলগ্ন কয়টি গ্রাম। আর এই সমস্ত এলাকায় জামতলা বৈদুত্যিক সাব স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু আমফানের পর থেকে এই এলাকার বিদ্যুৎ পরিস্থিতি খুবখারাপ। সন্ধ্যার পর থেকে লোডশেডিং ও লো ভোল্টেজে আমরা দিশেহারা। আর বিদ্যুৎ ঠিক মতন না থাকায় গ্রামের পাশে ঝোপ ঝাড়ে দেখা মিলছে বাঘ মামার। ইতিপূর্বে বৈকুন্ঠপুর গ্রামে ধান জমির পাশে সব্জি খেতে বাঘের পায়ের ছাপ মেলায় বন দপ্তরের বনি ক্যাম্প সহ কুলতলির বিট অফিসের কর্মীদের নিয়ে বেশ কয়েক দিন যাবৎ নেটিং এর কাজ করে বন দফতর।কিন্তু কয়েক মাস যাবত এখানে সন্ধ্যা নামলে টিমটিম করে জ্বলে ইলেকট্রিক বাল্ব আর তা নিয়েস্থানীয় বাসিন্দাদের বারেবারে বিদ্যুৎ দপ্তর কে জানানো সত্ত্বেও মেলেনি সুরাহা বলে অভিযোগ।এ ব্যাপারে জামতলা বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, কিছু সমস্যা আছে ঐ এলাকায়। কাজ চলছে, খুব শ্রীঘ্রই বিদ্যুৎ এর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।