বিশে বিষ,
ইন্দ্রানী গুপ্ত,
সময়ের মুখ দেখে কার স্রোতে ডুব দাও তুমি?
আকাশ গঙ্গায়?
ছায়াপথের বেলাভূমিতে বসে শুয়ে
সৌর স্নান করতে করতে
কতোবার পরিভ্রমন করো এই সূর্যকে?
তবে একটি জলন্ত সত্য, তুমি আসলে কোথাও ডুব দাও না
তুমি চলে যাও এ কথাটা কিন্তু একদম ঠিক নয়
বরং পরিক্রমন করতে করতে
ফিরে আসো নতুন নামে, নতুন সংখ্যায়
বছরের শেষ দিনে আমাকে রাখতে চাও হাজারো উত্তেজনায়।
পুরাতন পুরাতন বলে আমাকে দমাতে চাও, তবে
আমি কিন্তু দূর্দমনীয়
প্রতি বার শুকনো পাতা ঝড়ে পড়ার শব্দ শুনিয়ে
আমার পাশদিয়ে যতদুর চলে যাও তুমি,
কি বোঝাতে চাও তবে এসব শব্দে?
আমার মনকে ভেঙ্গে ফেলতে চাও, পারবে কি?
আমায় কি ভাঙতে পারো ভেঙেপড়া মর্মরে ?
আমি কিন্তু অনমনীয়
প্রতিবার আমি বলি
অলৌকিক আলো জ্বেলে নতুন রা আসবেই
সমৃদ্ধ করবে শুণ্যতা যতো,
নতুনরা হো হো করে হাসবেই
আরোগ্য দান করবে ভেতরের যতো অসুখ
পূর্ণতা দান করবে একে,একে,
পাপমুক্তির ব্যাখ্যা করবে হাতে হাতে,
আলোকিত করবে অন্ধকারের মুখ।
অন্তর্দ্বন্ড বা ভয়ের সংজ্ঞা ব্যাখ্যা করে
তুমি আমাকে হতাশ করতে চাও,
সামনের পথে আঙ্গুল নির্দেশ করে দেখাতে চাও,
সময়ের চিরন্তন প্রতিদ্বন্দী,
বিরূপ প্রকৃতির সাথে প্রাগৈতিহাসিক যুদ্ধ,
অন্যদিকে বরফের কফিন নিস্প্রাণ হীমঘর।
একটির পর একটি উপমা দিয়ে আবারো
দেখাতে চাও মৃত্তিকার নীচুতা বা অভিজাততন্ত্রের উচ্চতা
জীবনের ছায়ায় প্রতিবার হতাশ কিশোরের
কবিতার জাজ্বল্যমান ছাই প্রদর্শন করো
আর হেসে ওঠো, বলো, এসবে কিচ্ছু হবেনা হবেনা
তার পরো আমি বলি
এসব বলে আমাকে দমাতে পারবে না, পারবে না
চোখের কোণ মুছে মুছে
আমি কখনোই তোমায় বিদায় জানাবো না
দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখবোনা তোমার চলে যাওয়া
বরং বৃষ্টি আর সম্ভাবনার ডানায় বুনে যাবো নতুন পাতা
আগামী সকালে সূর্যের আলোয় অবলোকন করবো
কার কতো রূপ আর কার কতো ছায়া
মানবিক সত্যের আলোয়, প্রাণবন্ত থাকবো পৃথিবীর শেষ সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
বর্ষবিদায়ের শেষে চন্দ্রাস্ত দেখতে দেখতে বিদায় বিশ, বিদায় বিষাক্ত দিন,আসুক নতুন সূর্যোদয়,আসুক জীবনের নতুন রোদ্দুর,কাটুক অস্বস্তি ও দুস্বপ্নের রাত,ক্ষয় হোক বিশে বিষে বিষক্ষয়,আহবান করি,নতুন বছরের জন্মের প্রথম শুভক্ষন।
121 12,89,834