জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি ,
পরিস্থিতি দেখে যখন মনে হচ্ছিল চূড়ান্ত খেলার ফয়সালা টাই ব্রেকারে হবে ঠিক তখনই খেলার বিপরীতে একেবারে অন্তিম মুহূর্তে গণপুরের ডিফেন্সের শেষ মুহূর্তের ভুলে তালিতের সুযোগসন্ধানী স্বরাজ হাঁসদা গণপুরের জালে বল জড়িয়ে দেয় এবং ২৭ শে ডিসেম্বর পশ্চিম মঙ্গলকোটের গণপুর নরেন্দ্র স্মৃতি জনকল্যাণ সমিতি আয়োজিত চতুর্দলীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করে।
এর আগে টাই ব্রেকারে গণপুর ৪-৩ গোলে জামতারা ফুটবল ক্লাবকে এবং তালিত মর্ণিং স্টার ২-০ গোলে বোলপুর ডি.আই.স্টারকে পরাস্ত করে ফাইনালে ওঠে।
ফাইনাল খেলাটি আগাগোড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভরপুর ছিল। তালিত সেভাবে সুযোগ না পেলেও গণপুরের খেলোয়াড়রা অন্তত একবার ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হয়। ফলে চূড়ান্ত খেলার ফলাফল ১-০ থাকে। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয় তালিতের স্বরাজ হাঁসদা, টুর্নামেন্টের সেরা তালিতের বাণ্টি টুডু এবং সেরা গোলকিপার নির্বাচিত হয় গণপুরের রবি কোঁড়া।
আজকের প্রতিযোগিতার অন্যতম আকর্ষণ ছিল মহিলা ফুটবল প্রদর্শনী। এতে অংশগ্রহণ করে কেতুগ্রামের পালিটা আদিবাসী উন্নয়ন সমিতি ও গুসকরা ফুটবল অ্যাকাডেমি। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ খেলাটি গোলশূন্য ভাবে শেষ হলেও পালিটার গোলকিপার মন্দিরা সর্দার ও গুসকরার পিঙ্কি কর্মকারের খেলা দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
খেলার শেষে সমিতির সদস্যরা বিজয়ী ও বিজিত উভয় দলের অধিনায়কের হাতে পুরষ্কার তুলে দেয়। মহিলা দল দুটিকেও পুরষ্কৃত করা হয়।
আজকের প্রতিযোগিতায় প্রচুর দর্শক সমাগম হয়। মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। গুসকরা থেকে অতীতের বেশ কয়েকজন নামী খেলোয়াড় খেলা দেখতে আসেন।
ক্লাব সম্পাদক প্রেমানন্দ মুখার্জ্জী বললেন – অতিমারীর পরিস্থিতিতে আমরা মাত্র চারটি টিম নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করি। তবে দর্শকদের আগ্রহ দেখে আমরা চমৎকৃত। আশাকরি মাঠমুখী দর্শকদের জন্য গ্রামবাংলার ছেলেরাও মাঠমুখী হবে।
117 12,89,834