বিশ্ববাসীকে আলোর পথ দেখাতে শুরু হল সপ্তাহব্যাপী ‘মহাশিবির’
সুবল সাহা,
পিন্টু মাইতি,
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে অবশেষে এল সেই শুভক্ষণ। ২৩ শে ডিসেম্বর ঊষালগ্নে গুরুতত্ত্ব দ্বারা আয়োজিত ‘সমর্পণ’ ধ্যানযোগ প্রশিক্ষণের “মহাশিবির”-এর পুণ্য প্রকাশ ঘটল পরমপূজ্যপাদ শ্রী শ্রী শিবকৃপানন্দ স্বামীজির আবির্ভাবে।
গত কয়েক মাস ধরেই মহাশিবির অনুষ্ঠানের অনলাইন সম্প্রসারণের জন্য নিরলস প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছিল শ্রী শিবকৃপানন্দ স্বামী ফাউন্ডেশন। করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে বসেই শিবিরের অংশগ্রহণ করার সুযোগ এককথায় অনবদ্য। ব্যতিক্রমী ভাবেই শ্রী শ্রী শিবকৃপানন্দ স্বামীজীর মহামূল্যবান পরামর্শ সরল বচন এবং ৮০০ বছরের প্রাচীন হিমালয়ের সমর্পণ ধ্যান সংস্কারকে গ্রহণ করার জন্য মুখিয়ে ছিল বিশ্ববাসী।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ভাই রূপানী ধ্যান মহাশিবির জন্য শুভেচ্ছা জানান। এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক, জাতীয় সাধু মোরারি বাপু, গল্পকার গিরি বাপু, জিগনেশ দাদা, সাংসদ সি.আর. পাতিল, ডাঃ ভারতীবেন শিয়াল, যুগলজি ঠাকুর, মনোজ কোটক, নারায়ণ কাছড়িয়া, কামধেনু প্রকল্পের চেয়ারম্যান বল্লভ কাঠিরিয়া, বিধায়ক পীযূষ দেশাই, জে.বি. কাকড়িয়া, ছত্তিসগড়ের ক্যাবিনেট মন্ত্রী অমরজিৎ ভগত, সচিব বিকাশ উপাধ্যায়, জনসাহিত্যিক মায়াভাই আহির, হেমন্ত চৌহান, কির্তিদান গড়বী, শিশু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হর্ষদভাই শাহ, মহিলা কমিশনের ডাঃ দিপ্তি বেন শাহ এবং সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব এই মহাশিবির-এ অংশগ্রহণ করার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন।
২৩ শে ডিসেম্বর সকাল ৬ টায় উক্ত শিবিরের দ্বার উন্মোচন করলেন শ্রী শ্রী শিবকৃপানন্দ স্বামীজী স্বয়ং। প্রথম দিনই “সমগ্র যোগ” পর্বে তিনি সকলকে মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনিয়ে গেলেন ধ্যানযোগের সরল পদ্ধতি সমূহ। ইউটিউব লাইভ, gurutattva.org, ভূমি বাংলা চ্যানেল এবং SS NEWS1 পোর্টালেও সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা ছিল।
স্বামীজি ধ্যানযোগ অনুশীলন প্রসঙ্গে বারংবার মনে করিয়ে দেন, দিনের যে কোন সময়ে মনের শান্তি ও পরমানন্দের জন্য অন্তত ৩০ মিনিট ব্যয় করা উচিত। ধ্যানের সময় কোন পিছুটান, অপেক্ষা কিংবা উদ্দেশ্য থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। ধ্যান করতে বসলে মনের কেন্দ্রীভবন যেমন দরকার তেমনি তার ফলাফল অথবা ভালো-মন্দ বিচার করার চিন্তা না রাখা উচিত। স্বাভাবিক ধ্যানের অনুশীলন স্বয়ংক্রিয় ভাবেই মানুষের মধ্যে সঞ্চারিত হয়।
তিনি হিমালয়ে তাঁর গুরুজি সমূহের উদাহরণ টেনে বলেন, যা কিছু ভালো সংস্কার তিনি প্রাপ্ত করেছেন সে সমস্ত ‘সমর্পণ’ ধ্যানযোগের অংশ। নিয়মিত অনুশীলন ও আদর্শ ধ্যানযোগ হিসেবে সমর্পণ অভ্যাস করলে মনের সমস্ত কুসংস্কার ও ক্ষতিকারক দিক গুলি কখনোই বিরাজ করতে পারে না।
আগামী ৩০ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় সমূহ এবং দেহ থেকে আভামন্ডল বিচ্ছুরণ প্রসঙ্গে তিনি বিশ্ববাসীর সামনে গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি, বিজ্ঞান ও বাস্তব অনুভূতিকে উপস্থাপন করবেন। উক্ত দিনগুলিতে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত পুনঃসম্প্রচার করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মানসিক, শারীরিক ও সামাজিক সমস্যা দূরীকরণে শ্রী শিবকৃপানন্দ স্বামীজির সান্নিধ্যে ‘মহাশিবির’ যথেষ্ট ফলপ্রসূ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন উদ্যোক্তারা।