পারিজাত মোল্লা ,
; কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের দুদিনের বঙ্গ সফরে উজ্জীবিত হয়ে যোগদান মেলা শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। আর সূচনাতেই ঘটলো মহা বিপত্তি।সোমবার দুর্গাপুরে পলাশডিহায় মঞ্চের সামনে বিজেপির আদি বনাম নব শিবিরে ঘটলো মারপিট। প্রথমে বচসা, তারপর হাতাহাতি সর্বশেষ মঞ্চের চেয়ার টেবিল নিয়ে দুপক্ষের হানাদারি। ৬ জন মত আহত এই ঘটনায়। আর সবটাই ঘটলো বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং দের সামনে!উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট লোকসভা আসনে সাংসদ আবার বিজেপির।ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে একদা কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাঁ সহ তার দেড়শো অনুগামীদের বিজেপির দলে অন্তভুক্তি ঘিরে। বাম আমলে শিল্পাঞ্চল বর্ধমানের কয়লা সিন্ডিকেটের মূল হোতা ছিলেন রাজু ঝাঁ ও তার দলবল। এখন যেমন অনুপ মাঝি ওরফে লালা। দুর্গাপুরে পুলিশ প্রশাসনের একাংশের পাশাপাশি প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলে রাজু ঝাঁ এর ছিল অবাধ যাতায়াত। জনশ্রুতি, বাম আমলে এইসব এলাকার বিশেষত কয়লা অধ্যুষিত থানার ওসি পর্যন্ত ঠিক করে দিতেন রাজু ঝাঁ। রাজ্যে পালাবদলের পর বিপক্ষ শিবিরের দৌরাত্ম্যে ক্রমশ ‘নখদন্তহীন’ বাঘে পরিণত হন রাজু ঝাঁ। গত দুদিনের বঙ্গ সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে বাংলা জুড়ে বিরোধী দলের লোকজনদের টানতে যোগদান মেলার আয়োজন করেছে বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্ব। এইরুপ পরিস্থিতিতে, সোমবার সকালে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের ৩২ নং ওয়ার্ডে পলাশডিহায় প্রকাশ্য মঞ্চ গড়ে দলবদল রাজনৈতিক কর্মসূচি চলছিল। তাও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিং এর উপস্থিতিতে। দলবদলের সময় এলাকার কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাঁ ও তার দেড়শো অনুগামীদের নিয়ে মঞ্চে উঠতে গেলে বিজেপির আদি কর্মী সমর্থকরা রনংদেহী রুপ নেয়। প্রথমে বচসা, তারপর হাতাহাতি সর্বশেষ মঞ্চের চেয়ার টেবিল নিয়ে দুপক্ষের মারপিট শুরু হয়ে যায়।এতে ৬ জন আহত হয়েছেন বলে প্রকাশ। বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই জানান – ” এটি তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে অরাজকতা দেখাবার জন্য “। অপরদিকে তৃনমূল এই মারপিট কে বিজেপির আভ্যন্তরীণ বিবাদ বলে জানিয়েছে।