শুভ ঘোষ ,
আমরা প্রায়শই একটি স্নেহময় স্পর্শ, একটি হাসি, একটি সহৃদয় শব্দ, একটি সৎ প্রশংসা বা সামান্য যত্ন নেওয়ার প্রচেষ্টা – এগুলির ক্ষমতাকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করি না যা হয়তো একটি জীবনে অনেক অর্থবহন করার সম্ভাবনা রাখে। আমরা সকলেই ইচ্ছা থাকলে অপরের জীবনে একটি ইতিবাচক পার্থক্য আনতে পারি, অন্য একটি জীবনকে আলোকিত করতে পারি বা একা হয়ে যাওয়া পাশের মানুষটির খোঁজ রাখতে পারি।
সমাজের প্রবীণ সদস্যদের যত্ন নেওয়া সম্ভবত আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব এবং বাধ্যবাধকতা। তাঁরা জীবন-অভিজ্ঞতার নিরিখে আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছেন। আজ অনেক বৃদ্ধ মানুষেরা রয়েছেন সমাজের আনাচে-কানাচে যাঁরা সম্পূর্ণ একা হয়ে রয়ে গেছেন ঘরের এক কোণে। ওনাদের কথা সবাই ভুলে গেছে আজ। তাঁরা না পান কোন কম্বলের কুপন, না পান সামান্যতম ভালোবাসার ছোঁয়া। আজ সমাজের বিভিন্ন স্তরের সামাজিক ভাই-বোনেরা যে কাজ করে চলেছেন তাকে প্রণাম জানায় পেটালস অন্তর থেকে। কিন্তু তবুও আজ যেন কোথাও একটা অপূর্ণতা থেকে গেছে।
সেই বাবা-মায়েরা যাঁরা আজ ঘরের কোণে বস্তু হিসেবে রয়ে গেছেন, বহু বছর ধরে মনের কোনে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত ইচ্ছাগুলোকে আজও পূর্ণ করতে পারেননি, পেটালস দায়িত্ব নিল এমনই কিছু মানুষের পাশে দাঁড়াবার। হোকনা কম কাজ কিন্তু সঠিক হোক । এমনই 60 – 90 বছর বয়সের বাবা-মায়েদের খুঁজে নিয়ে তাঁদের অন্দরমহলে প্রবেশ করল পেটালস। এখন তাঁদের একমাত্র আকাঙ্ক্ষা হল জীবনের শেষ কয়েক বছরে যদি তাঁদের সাধারণ প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ করা হয়। তাঁরা হয়তো কেউ আজ খোলা ছাদের তলায় থাকেন না। তাঁদের গায়ে হয়তো একটা চাদর আছে। কিন্তু একটু উল্টে দেখলে দেখা যায় চাদরটা ছেঁড়া। উত্তরের ঐ কনকনে হাওয়াটা তাঁদের হাড়গুলোকে কাঁপিয়ে তোলে। ওনাদের প্রয়োজনগুলি খুবই সাধারণ – ছোট ফ্লাস্ক, শীতের কম্বল, ফুলহাতা সোয়েটার, বিছানার চাদর।কারোর ওয়াকিং স্টিকের প্রয়োজন হয়, কারোর প্রয়োজন কিছু মেডিক্যাল সাপোর্টের, কেউ হয়তো চান একজন কথা বলার সঙ্গী, একটু ভালোবাসার ছোঁয়া।
PETALS কি পারবে ওনাদের স্বপ্নগুলোকে পূরণ করতে? সামনের রবিবার (20/12/2020) ঘটতে চলেছে দুই প্রজন্মের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। জানতে হলে চোখ রাখুন PETALS এর পাতায়।