খায়রুল আনাম (সম্পাদক সাপ্তাহিক বীরভূমের কথা )
গাছ না লাগিয়েই টাকা লোপাটের অভিযোগ
মাটিতে কোপ পড়েনি কোদালের। অথচ, এমজিএনআরইজিএ কর্মসূচীতে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে গাছ না লাগিয়েই টাকা লোপাটের অভিযোগকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর-২ ব্লকের ষাটপলশা গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিস্থিতি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিডিও-র কাছে গণসাক্ষরিত অভিযোগপত্র দেওয়ার পরে, বিডিও দীপাঞ্জন জানা সেই অভিযোগপত্র পাওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে জানিয়েছেন যে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ষাটপলশা গ্রাম পঞ্চায়েতের দাদপুর গ্রামে সন্দীপ মণ্ডলের জমির সামনে একশো দিনের কাজ শেষের ফলক গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে লাগানো হতেই তা নিয়ে এলাকার মানুষদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। যেখানে এক কোদাল মাটিও কাটা হয়নি সেখানে কী ভাবে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৩ টাকা খরচ করে গাছ লাগানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে, এ নিয়েই এলাকার পরিস্থিতি সরগরম হয়ে ওঠে। কার যোগসাজসে গাছ না লাগিয়েই টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে সে প্রশ্নে সরগরম হয়ে ওঠে এলাকার পরিস্থিতি। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের সনৎ মোদি অবশ্য দাবি করেন যে, দাদপুরে প্রস্তাবিত ওই জমিতে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক ও একশো দিনের কাজের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা গিয়ে তা দেখেও এসেছেন। তবে, এই মুহূর্তে ওই জমিতে কোনও গাছ না থাকার কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, উপযুক্ত পরিচর্যার অভাবে গাছগুলি মরে গিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের এই বক্তব্যে আরও বিস্মিত হয়েছেন এলাকার মানুষজন। তাঁরা বলছেন, যে গাছ আদৌ লাগানোই হয়নি, সেই গাছগুলি উপযুক্ত পরিচর্যার অভাবে মরে যাওয়ার কথা আসছে কী ভাবে ? এলাকার মানুষজনও জানাচ্ছেন যে, সরকারি প্রকল্পের অর্থ এভাবে লোপাটের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক আধিকারিক যদি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেন তাহলে, তাঁরা সমগ্র বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে নামবেন এবং প্রয়োজনে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন ।।
94 12,89,834