সুরজ প্রসাদ,
এবার বসুরো বর্ধমানের খোকন দাস।দল ছাড়ার হুমকিও দিলেন সেই সঙ্গে প্রকাশ্য মঞ্চে। ফের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর খোকন দাস।
সোমবার বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী কালিমন্দির মাঠে ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই কর্মী সম্মেলনে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর খোকন দাস বলেন এক প্রাক্তন বর্ধমান পৌরসভার পৌরপতি তৃণমূল কংগ্রেসের মিটিংয়ে গিয়ে বলেছেন পৌরসভায় অনেক টাকা রাখা ছিল।সব টাকা খোকন বাড়ি নিয়ে চলে গেছে। বর্ধমানের সব খোকন দাস বিক্রি করে দিয়েছে।আরে খোকন দাস পৌরসভার পৌরপতি বা উপপৌরপতি কিছুই ছিল না।খোকন দাসের পৌরসভার কোন কাগজে সই করে নাই। শুধুমাত্র কাউন্সিলর ছিল। আর ছিল এমসিআইসি।নতুন পৌরবোর্ড গঠন হওয়ার আগে যা টাকা রাখা ছিল তার থেকেও দ্বিগুণ বেশি টাকা ফিক্সডে রাখা হয়েছে। কিছুই জানেন না।হিসেবে নিলেই সবাই জানতে পারবে। না জেনে শুধু ধাপ্পাবাজি। লোককে চাকরী করে দেব বলে বেড়াচ্ছে। এক একটা ওয়ার্ডে ৭০ ৮০ জন পদাধিকারী।সবাই কাগজ হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পকেট ভর্তি চাকরী।বলছে আমাদের সঙ্গে পার্টি করলে চাকরি করে দেব।কাগজ দিয়ে বলা হচ্ছে এতদিনে তোমাদের স্বীকৃতি দেওয়া হল তোমরা তৃণমূল কংগ্রেস করো।আসলে তোলাবাজি করার জন্য কাগজ দেওয়া। তোলাবাজি করো।আর দলটাকে শেষ করে দিচ্ছে। আমরা এসব মানবো না।
খোকন দাস আরো বলেন প্রয়োজনে তিনি দল ছেড়ে দেবেন।তবু আইনুল হককে মানবো না।সিপিএমের আমলে এই আইনুল হক কাঞ্চন উৎসব করতে দেয় নি।আইনুল হক বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম দিয়ে কোন কিছু করা যাবে না। খোকন দাস জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে এক হাত নেন।তিনি বলেন আইনুল হককে পাশে বসিয়ে মিটিং করবে মানবো না।প্রয়োজনে দল ছেড়ে দেব।তবু্ও ওসব মানবো না।
উচ্চ নেতৃত্বকে বলবো আপনারা পরীক্ষা করে দেখুন কারা দলটা করে। আর কারা দলের নামে তোলাবাজি করে।আপনারা সঠিক ভাবে তদন্ত করে দেখুন।মানুষের সঙ্গে কথা বলুন।
মাস দু’য়েক আগে আইনুল হক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদেন।তিনি বাম আমলে বর্ধমান পৌরসভার পৌরপতি ছিলেন। বছর দেড়েক আগে আইনুল হক বিজেপিতে যান।তারপর তিনি শাসকদলে যোগদেন পুজোর আগে।এদিন খোকন দাস আইনুল হকের নাম না করে তাঁকে আক্রমণ করেন।নাম না করে আক্রমণ করেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদারকেও।
খোকন দাস বলেন দলের যুব সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জী কি এই অরাজকতা করতে বলেছেন, নাকি মমতা ব্যানার্জী করতে বলেছেন
। তৃণমূল কংগ্রেসের লোকদের বলা হচ্ছে মারবো ধরবো।সিপিএম থেকে দলে এসে এসব করে বেড়াচ্ছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই আইনুল হক বর্ধমানে সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন। তিনি তখন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের মারধর করেছিলেন। আর এখন তৃণমূল নেতা।
এই বিষয়ে আইনুল হক কিছু বলতে অস্বীকার করেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন দলে কোন সমস্যা থাকলে দল মিটিয়ে নেবে।এই নিয়ে কেউ দল ছাড়বে না।
বিজেপির বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক সুনীল গুপ্তা বলেন বিজেপিতে আসার জন্য অনেক তৃণমূল নেতাই পা বাড়িয়ে আছে।আর ওদের দলের গোষ্ঠী কোন্দল সবাই জানে।
এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন ও কি বলেছে জানি না। আমি ও নিয়ে কিছু বলতে পারবো না।