সাধন মন্ডল
দি সাপ্তাহিক লকডাউনে সারা বাঁকুড়া জেলা জুড়ে চলছে লকডাউন। আজকের লকডাউন একেবারেই জনমানব শূন্য রাস্তাঘাট। রাস্তাঘাট দখল নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। জেলা শহর থেকে শুরু করে ব্লক শহরের আনাচে-কানাচে পুলিশের টহল ছিল চোখে পড়ার মতো। জঙ্গলমহলের রায়পুর, সারেঙ্গা, সিমলাপাল, তালডাংরা, রানিবাঁধ, খাতড়া, হিড়বাঁধ সর্বত্রই দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে বিভিন্ন জায়গায় উৎসুক মানুষের আনাগোনাও ছিল কিন্তুসেখানে পুলিশ কড়া হাতে তা দমন করেছেন। মোটর বাইক বা সাইকেল নিয়ে যারা রাস্তায় বের হয়েছেন তাদের কাছে রাস্তায় বেরোনোর কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে উত্তর যথাযথ না হলে তাকে সেখান থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এভাবেই যদি লকডাউন মেনে চলা যায় তাহলে হয়তো করোনার বাড়বাড়ন্ত ঠেকানো যেতে পারে তবে পুলিশের উপর দায় দায়িত্ব চাপিয়ে দিলেই হবে না সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে তা না হলে আমাদের বিপদ ঘনিয়ে আসছে বলে জানালেন রায়পুরের বাসিন্দা বিশিষ্ট কবি মনি শংকর দত্ত। তিনি আরো বলেন লকডাউন এর প্রথম দিকে মানুষ যেভাবে লকডাউন মেনে এসেছেন এখন অনেকটা গা-ছাড়া ভাব দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। পুলিশ যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছেন কখনো অনুরোধ করে কখনো ধমক দিয়ে কখনো মাস্ক পরিয়ে দিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করে চলেছেন। তালডাংরা ব্লকের পাঁচমুড়া এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষক ও মৃৎশিল্পী বিশ্বনাথ কুম্ভকার বলেন আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের লকডাউন এ সাধারণ মানুষ ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন। পুলিশের সাথে সহযোগিতা করে মানুষ বাইরে বের হননি বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া এবং চাষের কাজে যুক্ত থাকা মানুষজন ছাড়া।সাধারন মানুষ যদি স্বাস্হ্যবিধি মেনে চলেন তাহলে করোনা হারবেই