হারিয়ে যাচ্ছে সব,
সমীরণ সেন,
আমরা হেঁটে চলেছি
এক যান্ত্রিকতার পথে
অদূর ভবিষ্যতে।
যেখানে মানুষগুলো খুব অলস
শিশুগুলো গৃহবন্দী
পিঠে বইয়ের বোঝা
হাঁটতে পারে না সোজা।
ভুলে যাচ্ছে গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা!
ফিরেও দেখে না –
অতীতের মূল্যবান সংস্কৃতি ও খেলাধুলা–
আধুনিক প্রযুক্তি একে একে গ্রাস করছে সব ঐতিহ্য!
বর্তমান প্রজন্ম মুঠোফোনে আবদ্ধ!
‘ পাবজি ‘ আর ‘ ফ্রি ফায়ার ‘
খেলাধুলা ডোন্ট কেয়ার!
ভুলে যাচ্ছে চিঠি লেখা-
লাইব্রেরীতে বই পড়া-
হারিয়ে ফেলছে শৈশব –
হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ- খেলাধুলা-
চু-কিত-কিত, ডাংগুলি, লুকোচুরি, কানামাছি আরও কত কি!
ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের
মানসিক ও শারীরিক বিকাশ
গৃহবন্দী জীবন কাটে সারাক্ষন
মিথ্যা সুখ আর অর্থবিত্তে
তারা মেতে আছে কর্মব্যস্ততায়।
তারা প্রাণ খুলে হাসতে পারে না!
প্রাণ খুলে কাঁদতে পারে না!
পায় না দেখতে তারা সকালের মুক্ত আকাশ-
পায় না শুনতে তারা পাখির কাকলী-
পারে না নিতে প্রাণ ভরে বিশুদ্ধ বাতাস-
তবু তারা হেঁটে চলেছে
এক শুষ্ক নিরস যান্ত্রিকতার পথে
শৈশবকে পিছনে ফেলে
অদূর ভবিষ্যতে।