জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
কয়েক দিন ধরে একটানা উৎস মুখে ও উপত্যকা অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে । স্বাভাবিক ভাবেই কুনুর নদীর জলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে পশ্চিম মঙ্গলকোটের চাণক অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ইতিমধ্যে রামনগর, মল্লিকপুর, সরুলিয়া, জালপাড়া, চকপরাগ, উজিরপুর সহ বালিডাঙার অনেক সদ্য রোয়া ধানের জমি জলের তলায়। গত কয়েকদিন ধরে যে পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে এলাকার চাষীরা বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করছে।
পশ্চিম বর্ধমানের উখড়ার কাছে উৎপন্ন হয়ে কুনুর নদী গুসকরা অতিক্রম করে মঙ্গলকোটে প্রবেশ করেছে। তারপর নতুনহাটের কাছে অজয় নদীতে পতিত হয়েছে। প্রায় ৮০ কিমি লম্বা এই নদীর নাব্যতা খুবই কম। বাম আমলে নদীটির একবার সংস্কার হয়। যদিও স্হানীয়দের দাবি সংস্কারের নামে টাকা নষ্ট করা হয়েছে। তারপর আর সংস্কার করা হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে প্রায় প্রতি বছর বন্যা আসে।
বালিডাঙার চাষী তাপস বিশ্বাস, সৌভিক শিকদাররা বললেন- আমাদের গ্রাম অনেক নীচুতে অবস্হিত হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে কৃষিজমির সঙ্গে সঙ্গে কুনুরের জলে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এবার দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় এলাকার পুকুরগুলো টইটম্বুর। ফলে তারা আরও বড় বিপদের আশঙ্কা করছে।
যদিও চাণক গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য পতিত পাবণ মণ্ডল বললেন – আমরা পরিস্থিতি সম্বন্ধে সচেতন আছি। নদী সংস্কারের বিষয়টি অবশ্যই আমরা প্রশাসনের উপর মহলে এবং উর্ধ্বতন দলীয় নেতৃত্বকে জানাব।