সুরজ প্রসাদ
করোনা প্রতিরোধে সাতদিনের লকডাইন কে কড়াভাবে প্রয়োগ করতে চাইছে প্রশাসন।বুধবার সকাল থেকেই রাস্তায় পুলিশ; সিভিক ভলেন্টিয়াররা। মোড়ে মোড়ে নাকা চেকিং। গতকাল রাতেই লক-ডাউন এর বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসন। ২২ থেকে ২৯ জুলাই বর্ধমান শহরের ২৫ টি ওয়ার্ডের সর্বত্র সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়। কেবলমাত্র ওষুধ আর জরুরি পরিষেবাকে আর অত্যাবশকীয় পণ্যকে এর আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। ক্রমশ বেড়ে চলা কোভিড সংক্রমণের হার চিন্তায় ফেলেছিল প্রশাসনকে। নাগরিকদের মধ্য থেকেও দাবি উঠতে থাকে। গত পরশু যেখাবে নতুন করে ৯ জন আক্রান্ত হবার খবর আসে শহরে।মঙ্গলবারই সংখ্যাটা বেড়ে যায় ২৮ জনে। গতকাল গোটা জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৫২ জন। একটা সময় জেলায় সন্তোষজনকভাবে কমে এসেছিল করোনার প্রকোপ।নিয়ম ও শিথিল হয়েছিল। সেই সুযোগে একশ্রেণীর বাজারবিলাসী আর আড্ডাবাজ মানুষের বেপরোয়া মনোভাব বাড়তে থাকে। কার্যত নিয়ম না মানাই নিয়ম হয়ে যায়। তাই কড়া হতে বাধ্য হল প্রশাসন।দুদিন আগে তিনটি ওয়ার্ডে লকডাউন আর দশের অধিক কনটেনমেন্ট জোনের নির্দেশ দেওয়া হয়। বাজার সুপারমার্কেট একদিন অন্তর একদিন আর ডানদিক বা বাঁদিক করে খোলা হচ্ছিল।আজ থেকে পুরো লকডাউন গোটা শহরে। শহরের নানা প্রবেশপথ গুলিতে পুলিশ রয়েছে। উল্লাস নবাবহাট বীরহাটা ডিভিসি মোড় সহ এন্ট্রি পয়েন্টে চলছে নাকা চেকিং। কাউকে ঢুকতে গেলেই তার প্রয়োজন ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।অন্যদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দেশ না দেওয়ায় ব্যাংককর্মীরা কাজে বেরোন। এনিয়ে পুলিশের সাথে তাদের বচসা হয়। পরে প্রশাসন ব্যাংকের সাথে যুক্তদের ছাড় দিয়েছে।এদিকে একাংশের মানুষের গা-জোয়ারী আজও কমেনি। তারা রাস্তায় বাইক নিয়ে টহল দিতে বাজার করতে বেরিয়ে পড়েছেন।কারো কারো মুখে আবার মাস্কও নেই।রাস্তায় ভিড় বাড়তে থাকে।পুলিশ কঠোর হয়। বেশ কিছু দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়।বাজারবিলাসী আর আড্ডাধারীদের পত্রপাঠ বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। শহরে অকারণে কাউকে ঢুকতে বা বেরোতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ।প্রশাসনের এই কঠোর পদক্ষেপকে সমর্থন করছেন সচেতন নাগরিকেরা।তারা বলছেন কঠোরভাবে চলুক প্রশাসন। তাতে যদি করোনার প্রকোপ কমে।