নিজস্ব সংবাদ
আমফান দূর্নীতি সহ বহু অভিযোগ নিয়ে দলীয় বিধায়ক সহ আরো কয়েকজন দলীয় পদাধিকারীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন দলেরই প্রবীন নেতা। উঠে এলো গোষ্ঠী কোন্দল। ঘটনাটি জয়নগর বিধানসভা এলাকায়। এই এলাকারই প্রবীন তৃনমুল নেতা গৌর সরকার সোমবার দক্ষিন বারাশতের দলীয় অফিসে এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, জয়নগরের বিধায়ক তৃনমুলের বিশ্বনাথ দাস, তাঁর শ্যালক তথা জয়নগর ১ নং ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তুহীন বিশ্বাস, দক্ষিন বারাশত গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অরুণ নস্কর ও জয়নগর ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোনাজাত খান দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আমফানে ক্ষতি গ্রস্থ দের না দিয়ে পাকা বাড়ি, কম ক্ষতিগ্রস্থ, এক বাড়ির সব সদস্য, ভুয়ো সদস্য সহ নিজেদের আত্মীয় পরিজনদের কুড়ি হাজার টাকা করে সরকারি ক্ষতি পূরনের টাকা পাইয়ে দিয়েছেন। এমনকি জয়নগর ২ নং ব্লকে বাঘের কামড়ে মৃত ১১ জনের নামে ও এই টাকা তুলেছে। অথচ সেই ১১ জন বেঁচে আছেন।ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে এরা এলাকায় প্রমোটিং সহ অন্যান্য কাজ করছে। লকডাউনে সরকারি হাই স্কুলকে এরা দলীয় অফিসে পরিণত করেছিল। তৃণমূল দলকে বদনাম করছে বিধায়ক এ্যন্ড কোম্পানি। গরীব মানুষদের এরা কাঁদিয়ে কোটিপতি হয়ে গেছে। অথচ এই দলটার জন্ম থেকে আমি তিলে তিলে লড়াই করে সংগঠন তৈরি করেছিলাম। আমার হাত ধরেই ওরা রাজনীতিতে এসেছে। মানুষের সেবার নামে লুনঠন বাজি করছে। আর সুনাম নস্ট হচছে দলের।সুনাম নস্ট হচ্ছে দলনেএীর। মানুষের কাছে ভুল ধারণা যাচছে। তৃণমূলকে চোর ভাবছে। মা মাটি মানুষের সরকারের বদনাম করছে বিধায়ক সহ অন্যরা। সাংবাদিক দের প্রশ্নের উত্তরে তৃনমুল নেতা গৌর সরকার বলেন, দলের জেলা সভাপতি থেকে রাজ্য নেতৃত্ব সবাই কে আমি জানিয়েছি এই ভাবে দলের বদনাম করছে যারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক দল। দলের জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েই আমি এই সাংবাদিক বৈঠক করলাম। দলের বদনাম, মমতার বদনাম আমি মানতে পারবোনা। তিল তিল করে মমতা দলটাকে এত দূরে নিয়ে এসেছে। আর সেখানে দূর্নীতি করে দলকে কালিমালিপ্ত করা কি মেনে নেওয়া যায়। প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে আমফান ও বুলবুলের কিট,ত্রিপল ও ত্রাণ নিয়ে দূর্নীতি করেছে বিধায়ক। উল্লেখ্য, জয়নগরের বিধায়ক তৃনমুলের বিশ্বনাথ দাস সহ বাকীরা সবাই প্রবীন তৃনমুল নেতা গৌর সরকারের হাত ধরে তৃণমূলে এসেছে। এমনকি তাঁর চেষ্টায় ২০১৬ সালে বিধানসভার টিকিট ও পায় বিশ্বনাথ। আর তার কিছু দিন পর থেকে নিজেদের ভেতর কোন্দল শুরু হয়। ফলস্বরুপ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়নগর এলাকায় প্রবীন ও নবীনের ঝামেলায় দলীয় প্রতীক ছাড়াই বহু নির্দল প্রার্থী জয়ী হন।বার বার চেষ্টা করেও বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের ফোন সুইচ অফ থাকায় ও এলাকায় না থাকায় তাঁর কোন মতামত এ ব্যাপারে পাওয়া যায় নি। তবে তাঁর শ্যালক তথা জয়নগর ১ নং ব্লক তৃনমুল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তুহীন বিশ্বাস তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে ছেন। সব মিলিয়ে বিধানসভার আগে তৃনমূলের দলীয় কোন্দল জমে উঠেছে জয়নগরে।
97 12,89,834