কাজল মিত্র
গতকাল রাতে ধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর।বাড়ি গুলি প্রায় ৫ ফুট মাটিতে বসে যায় বলে স্থানীয়রা জানান। মাটিতে চাপা পড়ে যায় একাধিক ছোট বড় গাড়ি।আর এর ধসের আতঙ্কে বাধ্য হয়ে সকাল থেকেই ঘরের আসবাবপত্র এবং গবাদি পশু নিয়ে গ্রাম ছাড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানাজায় গত ১৬ তারিখে হরিশপুর গ্রাম থেকে বহুলা যাবার প্রধান রাস্তার মাঝে দুই নম্বর জাতীয় সড়ক টপ লাইন এবং পড়াশকোল যাওয়ার মূল রাস্তা ধসে যায়। দুটি বাড়িতে ফাটল দেখা যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন। তারপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ছোটখাটো ধসের ঘটনা ঘটছিল। কিন্তু গতকাল রাত বারোটা নাগাদ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। ধ্বসের কবলে গ্রামের ৫৫০টি পরিবার। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়েন। সকাল থেকে ওই এলাকায় কেউ পরিদর্শনে আসেননি বলে স্থানীয়দের ক্ষোভ। এরপরই আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা দুই নম্বর জাতীয় সড়ক এবং জিএম অফিস ঘেরাও করেন। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত ই.সি.এল এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করলে পুরো গ্রাম মাটির গর্ভে চলে যেতে পারে। বিক্ষোভকারীরা জানান, এমনিতেই তারা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা তপন কুমার পাল বলেন, খোলামুখ খনি হওয়ার পর মাটির নিচের কয়লা স্তরে আগুন লেগে যাওয়ার পর কয়লা পুড়ে হরিশপুর গ্রামের মাটির নিচে পুরো ফাঁকা হয়ে গেছে। এর জেরেই ধ্বস হয়েছে। তিনি বলেন ধ্বসের জেরে বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ি গুলি প্রায় ৬ -৭ ফুট গভীর মাটিতে বসে যায় । এলাকার মানুষ আতঙ্কে সকাল থেকে নিরাপদ জায়গা খোঁজার চেষ্টা করছে ।
তাই যতক্ষণ না প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ততক্ষণ তারা অবরোধ করা থেকে পিছপা হবেন না।