জুলফিকার আলি
প্রতি বছরের মত এবছরও সারা রাজ্যের সাথে সাথে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে গত ১৪ ই জুলাই থেকে বনমহোৎসব শুরু হয়েছে। চলবে ২১ জুলাই পর্যন্ত। সপ্তাহভর গাছের চারাগাছ বিলিবন্টন,মোচ্ছব সবই চলবে গড্ডালিকা প্রবাহের মত।গাছ লাগানো – কর্মসূচি র মাধ্যমে সামাজিক বনসৃজনের বাণিজ্যীকরণ এখন চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও পরিবেশ দূষণ রোধের থেকে অর্থ সমাগমের বড় হাতিয়ার হয়ে পড়েছে সামাজিক বনসৃজন।পুরনো গাছ সংরক্ষণ করা বা গাছ কাটার জন্য বনদপ্তরের অনুমতি নেওয়ার কোন বালাই নেই।অামফান দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ কোটি কোটি টাকা মূল্যের গাছ লোপাট হল।ত্রিস্তর পঞ্চায়েত বা সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে অামফান দুর্যোগ কবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ গাছ থেকে কত রাজশ্ব জমা পড়ল তা কোন হিসাব বনদপ্তর,পঞ্চায়েত দপ্তর বা প্রশাসনের কাছে নেই।অামফান কবলিত এলাকায় বনসৃজনের কোন বিশেষ পরিকল্পনার ছোঁয়া ও নেই। বনমহোৎসবের নামে প্রহসন রোধ করা,গাছ কাটার অাইনকে কঠোর ভাবে প্রয়োগ করা,অামফান কবলিত এলাকায় অবিলম্বে বনসৃজনের বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ ও গাছ বিক্রির কোটি কোটি টাকার হিসাব সংগ্রহ প্রভৃতি দাবী সমূহের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারের বনদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়েছেন সিপিঅাইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন।