সেখ সামসুদ্দিন
মেমারি ১ নম্বর ব্লকের দুর্গাপুর অঞ্চলের চোটখন্ড থেকে দেবীপুর যাওয়ার রাস্তায় জিটি রোডের দু’পাশে সরকারি জমি দখল করাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা গেছে | ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি জায়গা দখল করার জন্য ঐ এলাকার কিছু মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় | কেউ বাঁশের ব্যারিকেড করে আবার কেউ সিমেন্টের পিলার পুঁতে সরকারি জায়গা অবৈধ ভাবে নিজের নিজের দখলে রাখার চেষ্টা করছে।
কিন্তু বাদ সাধে সরকারি নয়ানজুলির পরে বৈধ জমির মালিকানাধীন ব্যক্তিরা। তারা ওই অবৈধ দখলকারীদের বাধা দিতে গেলে একে অপরের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। সরকারি নয়ানজুলির পর, এমনই একজন জমির মালিক চোটখন্ড নিবাসী সুশান্ত মন্ডলের কথায়, তার মালিকানা জায়গার সামনে বেশ কিছু লোক সরকারি নির্দেশ ছাড়াই সরকারি জায়গা দখল করছে। ফলে তার জমিতে প্রবেশ করার মত ন্যূনতম রাস্তা পর্যন্ত রাখেনি অবৈধ দখল কারীরা। ফলে চাষাবাদের সময় জমিতে ট্রাক্টর কিংবা ফসল তুলে ঘরে নিয়ে যাবার মত পরিস্থিতি রাখেনি। তিনি এও জানান, ভবিষ্যতে তিনি যদি তার নিজস্ব মালিকানা জায়গায় কিছু করেনও তবে তার অসুবিধা হবে জেনে এই জায়গা দখল করার বিরোধিতা করেন। প্রয়োজনে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। অপরদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বেশকিছু পরিযায়ী শ্রমিক তারা লকডাউনের কারণে কর্মসংস্থান হারিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছে। বর্তমানে তারা কর্মহীন হয়ে যাবার ফলে সরকারি জায়গা দখল করে দোকান ঘর করে ব্যবসা করার কথা ভাবছে। এর সাথে বেশ কিছু ব্যক্তি তারাও যোগ দিয়েছে সরকারি জায়গা দখল করে রোজগারের আশায়। শোভনা গ্রামের বাসিন্দা সাবির শেখের মতো বেশকিছু অবৈধ দখলকারী পরিযায়ী শ্রমিকের কথায় জানা যায় যে, তারা এই মুহূর্তে কর্মহীন। সরকারের কথামতো ১০০দিনের কাজ বা জব কার্ডের জন্য বর্তমান পঞ্চায়েত বা গ্রাম সদস্য তাদের কোনো সাহায্য করেনি। তাই কিছু রোজগারের আশায় বাধ্য হয়ে সরকারি জায়গা দখল করেছে ভারতবর্ষের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের যোগাযোগের মাধ্যম এই জিটি রোড। কিন্তু এই রাস্তার ধার ঘেঁষে প্রত্যেক দিনই ব্যাঙের ছাতার মত রাতারাতি গজিয়ে উঠছে অবৈধ নির্মাণ। কোথাও কোথাও রাস্তার ওপরে বাস স্ট্যান্ড অথবা অটো টোটো স্ট্যান্ডও লক্ষ্য করা যায়। যার ফলে চলাচল ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। দুর্ঘটনায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। এই ব্যাপারে প্রশাসন একটু সতর্ক হলেই অনেক দুর্ঘটনাই এড়ানো সম্ভব হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।