জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
শত পরিবর্তনের মধ্যেও এখনো নিজস্ব কৃষ্টি, রীতিনীতি, মূল্যবোধ ধরে রেখেছে আদিবাসী সমাজ। সেই আদিবাসীদের অধিকার, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সুরক্ষা দেওয়ার স্বার্থে ১৯৯২ সালে জনসংঘের মানবাধিকার কমিশনের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ উপকমিশনের কর্মকর্তারা ৯ ই আগষ্ট দিনটি ‘বিশ্ব আদিবাসী দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৯৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার পর প্রতি বছর এই দিনটি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে পালিত হয়ে আসছে।
শুধু আদিবাসী অধ্যুষিত জঙ্গল মহল নয় উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলায় পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব আদিবাসী দিবস’। ব্যতিক্রম নয় পূর্ব বর্ধমান জেলাও। জেলা অনগ্রসর সম্প্রদায় কল্যাণ বিভাগের উদ্যোগে গত ১০ ই আগষ্ট আউসগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে পালিত হলো বিশ্ব আদিবাসী দিবস।
অন্যান্য বছর আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান হলেও বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারি জনিত কারণে এবছর অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে বারো জন আদিবাসীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন – পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী, সভাধিপতি শম্পা ধারা,সহ সভাধিপতি দেবু টুডু, মহকুমা শাসক পুষ্পেন্দু সরকার(বর্ধমান উত্তর ), বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার, নেপাল ঘুড়ুই, নিশীথ মালিক, অলোক মাজি প্রমুখ।
পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসক বলেন – আদিবাসীদের মানবাধিকার, পরিবেশ উন্নয়ন, শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নতির লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।