সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব
২০১১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল দলের প্রার্থী হয়ে এলাকার মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভোটের ফল যাই হোক না কেন সুখে দুখে হাবড়ার মানুষের পাশে থাকবো। যেমন কথা ঠিক তেমন কাজ। মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেই প্রতিশ্রুতি এখনও অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাচ্ছেন হাবড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
“মানুষের সুখের দিনের সঙ্গী হতে না পারলেও বিপদের দিনে মানুষের সঙ্গী হবো।” 2011 সালে হাবড়া বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে প্রতিটি জনসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। পরপর দু বারের বিধায়ক হয়েও সেই কথা বাস্তবে চোখ দিয়েই দেখতে পাচ্ছেন হাবড়া বিধানসভা এলাকার মানুষ। সে হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের সব ধরনের সাহায্য থেকে শুরু করে এলাকার প্রতিটি কোনায় কোনায় পরিস্কার করা সবটাই নিজে হাতে করে করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, প্রাকৃতিক বিপর্যয় যতবার হয়েছে নিজেই প্রতিটি এলাকায় গিয়ে দূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সুখ দুখের সঙ্গী হয়ে থেকে গিয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে তার এই ধরনের মানবিকতা দেখতে দেখতে হাবড়ার দলমত নির্বিশেষে মানুষের কাছে কখন যে তিনি মনের মানুষ হয়ে গিয়েছেন তা বোধহয় তিনি নিজেও জানেন না। তাই তো তিনি আজ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের থেকে সকলের বালুদা হয়ে মনের স্মৃতিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন।
না, এ অন্য কোন রাজনৈতিক নেতার দেওয়া মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয়, তিনি যা কথা দেন সেই কথা তিনি যে রেখে চলেছেন বছরের পর বছর ধরে তা পরিস্কার হয়ে গিয়েছে হাবড়ার মানুষের কাছে। মানুষ কে দেওয়া এ কোন মিথ্যা গালভরা প্রতিশ্রুতি নয়, প্রতিশ্রুতি পূরণে তিনি যে দায়বদ্ধ সেটাই দেখলো হাবড়া বিধানসভা এলাকার মানুষ।

